সাবেক মন্ত্রীর ছেলের হারপিক পানে মৃত্যু

খুলনা জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান অভিজিৎ চন্দ্র চন্দ (৩০) হারপিক পান করে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ছেলে।
আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে ডুমুরিয়াস্থ নিজ বাসভবনে অভিজিৎ চন্দ্র চন্দ হারপিক পান করেন। তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বিকেলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় আনা হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
পরিবারের সদস্য ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে অভিজিৎ চন্দ্র চন্দ সবার অগোচরে হারপিক পান করেন। তিনি বমি করতে থাকলে তাঁকে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, ‘অভিজিৎ চন্দ্র চন্দ হারপিক পান করলে তাঁকে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয়। পরিবারের ইচ্ছে অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় হেলিকপ্টারে করে স্কয়ার হাসপাতালে পাঠানো হয়।’
খুলনা জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ রাতে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘মৃত্যুর খবর শুনেছি। তবে পারিবারিকভাবে পুলিশকে নিশ্চিত করা হয়নি। তাদের সবার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।’
অভিজিৎ চন্দ্র চন্দের বাবা সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ আজ রাত সোয়া ১০টার দিকে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার ছেলে মানসিকভাবে বেশ কিছুদিন অসুস্থ ছিল। তাকে ঢাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধায়নে নিয়মিত চিকিৎসা করানো হচ্ছিল। এমন অবস্থায় সে হারপিক পান করেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তির করা হয়েছিল। সেখানে রাত সাড়ে ৯টার দিকে অভিজিৎ মারা যায়।’