সুন্দরবন সংলগ্ন তিন করাতকল জব্দ, মামলা

বাগেরহাটের মোংলায় সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে জনবসতি এলাকায় অনুমোদনহীন তিনটি করাতকল জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগ। সেইসঙ্গে করাতকলের মালিকদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা করা হয়েছে।
আজ শনিবার দুপুরে উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের মোল্লারহাট-সাহেবেরমাঠ এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার, পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এনামুল হক, চাঁদপাই স্টেশন কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমান, জিউধারা স্টেশন কর্মকর্তা নুরুল আফসার ও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর হোসেন। এ সময় স’মিল মালিক মহসিন মুসল্লী, আবু বকর মোল্লা ও বোরহান মোল্লা তাদের বৈধ কাগজপত্র দেখা পারেনি। ফলে তাৎক্ষণিকভাবে তিনটি করাতকলের মেশিনপত্র খুলে জব্দ করে। জব্দকৃত মালামাল জিউধারা ফরেস্ট অফিসে রাখা হয়েছে।
আজ বিকেলে জিউধারা স্টেশন অফিসে করাতকল মালিক মহসিন মুসল্লী, আবু বকর মোল্লা ও বোরহান মোল্লার বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা করেছেন বন কর্মকর্তা নুরুল আফসার। তবে আভিযুক্তরা কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এনামুল হক বলেন, ‘সুন্দরবন উজাড় ও বনের গাছ পালা রক্ষায় বন সংলগ্ন ১০ কিলোমিটারের মধ্যে করাতকল স্থাপন নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ সীমানার মধ্যে অবৈধভাবে করাতকল স্থাপনের কারণে তিনটি করাতকলের সব মেশিনারি খুলে জব্দ ও মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।’
এদিকে, বন বিভাগের হিসাব মতে, মোংলায় ২৭টি করাতকলের মধ্যে তিনটি কল জব্দ ও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরপর আরো ২৪টি চালু রয়েছে। এগুলোর মধ্যে দুএকটি অনুমোদনের অপেক্ষায় আর বাকিগুলোর অনুমোদন রয়েছে বলে দাবি করেছে বনবিভাগ। তবে সব করাতকলই সুন্দরবন থেকে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে স্থাপিত, তাহলে সেই কলগুলো কীভাবেই অনুমোদন পেল এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।