সুষ্ঠু নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে ওবায়দুল কাদেরের ভাইয়ের গণঅনশন
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনের আগে সুষ্ঠু ভোটের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও গণঅনশন করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আব্দুল কাদের মির্জাসহ নেতাকর্মীরা। পরে ওবায়দুল কাদেরসহ জেলার জ্যেষ্ঠ নেতাদের আশ্বাসে আগামী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেন তাঁরা।
নেতাকর্মীদের দাবি, জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম, পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা রবিউল হককে প্রত্যাহার, অস্ত্র উদ্ধার ও জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি সংশোধন করে পুনরায় ঘোষণা করতে হবে।
এসব দাবিতে আজ বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত একটানা সাত ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। এ সময় বাজারে দোকানপাট বন্ধ করে দিয়ে রাস্তায় টায়ারে আগুন জালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
একই সময় বাজারের জিরো পয়েন্টে বঙ্গবন্ধু চত্বর এলাকায় সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও বসুরহাট পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী আব্দুল কাদের মির্জাসহ নেতাকর্মীরা গণঅনশন শুরু করেন।
আগামী ১৬ জানুয়ারি বসুরহাট পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য আজ সকাল ১০টার দিকে উপজেলা হল রুমে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. খোরশেদ আলম, পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। বৈঠকের একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল কাদের মির্জাকে জেলা প্রশাসক (ডিসি) খোরশেদ আলম শালীন ভাষায় ও নির্বাচনী আচরণবিধি মোতাবেক বক্তব্য দিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু ডিসির এ কথায় আব্দুল কাদের মির্জা উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং তাঁকে বক্তব্য শেখাতে হবে না বলে ডিসিকে বলেন। এ সময় তাদের দুজনের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি ও পরে হট্টগোল দেখা দেয়।

একই সময়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ডিসিকে দালাল বলে আখ্যায়িত করে স্লোগান দিতে দিতে বসুরহাট বাজারে এসে দোকানপাট বন্ধ করে দেন।
এরপর বাজারের জিরো পয়েন্টের বঙ্গবন্ধু চত্বরসহ চারদিকে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় মেয়র পদপ্রার্থীসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন দাবিতে গণঅনশন শুরু করেন। অনশন চলা অবস্থায় আব্দুল কাদের মির্জা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে চিকিৎসা নিতে দেখা যায়।
নেতাকর্মীরা জানান, তাঁদের দাবি মানা না হলে তাঁরা এ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।