রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় স্বামীর চলন্ত প্রাইভেটকার থেকে লাফ দিয়ে স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে উপজেলার মীরগঞ্জ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর স্বামী মোহাম্মদ আলীকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।

নিহত গৃহবধূর নাম জুলিয়া খাতুন (২০)। তিনি উপজেলার মীরগঞ্জ গ্রামের মোশারফ হোসেনের মেয়ে এবং রাজবাড়ী জেলার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী। তাদের পাঁচ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

নিহত গৃহবধূর পারিবারিক সূত্র জানায়, প্রায় ছয় বছর আগে জুলিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় রাজবাড়ীর মোহাম্মদ আলীর।  মোহাম্মদ আলী গার্মেন্টস ব্যবসায় সম্পৃক্ত থাকায় ঢাকায় থাকেন।

জুলিয়ার মামা মুকুল হোসেন জানান, সম্প্রতি জুলিয়ার সঙ্গে জামাইয়ের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। এ কারণে গত একমাস ধরে জুলিয়া বাঘার মীরগঞ্জে তাঁর মা-বাবার বাড়িতে থাকতেন। তিনি ঢাকায় যেতে চাচ্ছিলেন না। গত শুক্রবার জামাই প্রাইভেটকার নিয়ে শ্বশুরবাড়ি আসেন। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে বাঘা মাজার শরিফ দেখতে আসার কথা বলে স্ত্রী-ছেলেকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের হন মোহাম্মদ আলী। কিন্তু তিনি মাজারে না গিয়ে বাঘা বাজার অতিক্রম করে ঢাকার উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। জুলিয়া বিষয়টি বুঝতে পেরে গাড়ির দরজা খুলে লাফ দেন। এ ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হন।

স্থানীয় লোকজনদের সহায়তায় মোহাম্মদ আলী তাঁর স্ত্রী জুলিয়াকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত জুলিয়াকে রামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। এরপর রামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মোহাম্মদ আলীকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ  বিষয়ে বিকেল পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। এলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।