হুন্ডি ব্যবসার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৬

মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস–এমএফস এজেন্ট ব্যবসার আড়ালে হুন্ডি ব্যবসার অভিযোগে কুমিল্লা এবং ঢাকা থেকে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। গতকাল তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশের অপরাধ বিভাগের (সিআইডি) প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মীর মো. কামরুল হাসান শিশির, খোরশেদ আলম, মো. ইব্রাহিম খলিল, কাজী শাহ নেওয়াজ, মো. আজিজুল হক তালুকদার ও মো. নিজাম উদ্দিন। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে ১১টি মোবাইল ফোন, ১৮টি সিমকার্ড, একটি ল্যাপটপ ও একটি ট্যাব জব্দ করা হয়।
মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, ‘রেমিটেন্স বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণপ্রবাহ। বিশ্বপরিস্থিতি এ দেশের অর্থনীতির ওপরে যে চাপ তৈরি করেছে, তা মোকাবিলা করার জন্য সরকার অত্যন্ত তৎপর। হুন্ডি সবসময় রিজার্ভের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এমএফএসের মাধ্যমে হুন্ডি পরিলক্ষিত হচ্ছে, এ রকম পাঁচ হাজারের বেশি এমএফএএস এজেন্টের সন্ধান পায় সিআইডি। সিআইডির ফাইনান্সিয়াল ক্রাইম ও সাইবার ক্রাইম ইউনিট এর আগেও চট্টগ্রামে যৌথভাবে তিনটি অভিযান চালিয়ে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল।’
সিআইডি জানায়, গতকাল সোমবার দিনগত রাতে সিআইডির সাইবার ক্রাইম ইউনিট আবারও অভিযান চালিয়ে কুমিল্লা ও ঢাকা থেকে দুই চক্রের ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত চক্রটি অবৈধভাবে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার এবং বিদেশে অবস্থানরত ওয়েজ আর্নারসের কষ্টার্জিত টাকা বিদেশ থেকে বাংলাদেশে না এনে স্থানীয় মুদ্রায় মূল্য পরিশোধ করার মাধ্যমে টাকা পাচার করে আসছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চক্রটি প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে এমএফএস ব্যবহার করে ক্যাশ ইনের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হুন্ডি করছে। গত এপ্রিল মাস থেকে আগস্ট পর্যন্ত প্রতিটি চক্র আনুমানিক প্রায় তিন কোটি টাকা হুন্ডি করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, ‘মোহাম্মদ খোরশেদ আলমের মালিকানাধীন কুমিল্লার লাকসামে অবস্থিত বিকাশ ডিস্ট্রিবিউশন হাউজ, জে এ এন্টারপ্রাইজের দুই হাজার এজেন্ট সিমের মাধ্যমে প্রতি মাসে ২০০ থেকে ৩০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়। সিআইডি সন্দেহজনক দুটি এজেন্ট সিম নিয়ে কাজ করে যার মাধ্যমে গত ছয়মাসে আনুমানিক তিন কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পায়। এই দুটি সিম নিয়ে কাজ করতে যেয়ে এরকম আরও ১১টি এজেন্ট সিমের সন্ধান পায় সিআইডি। যাদের মাধ্যমে এরকম সন্দেহজনক তথ্য ডিজিটাল হুন্ডির তথ্য পাওয়া যায়।’
সিআইডিতে যোগদানের পরে প্রথমবারের মতো সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেছিলেন, পাঁচ হাজার এজেন্টকে চিহ্নিত করে কাজ করছে সিআইডি, যারা অবৈধভাবে বিদেশ থেকে রেমিটেন্স আনতে কাজ করছে।’
আজকের সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি প্রধান বলেন, ‘ওই পাঁচ হাজার এজেন্টদেরকে এখনও নজরদারিতে রেখেছে সিআইডি।’