১৯ বছর পর আসমা ফিরে পেলেন পরিবারকে

চট্টগ্রাম থেকে ২০০১ সালে হারিয়ে যান জহুরা খাতুন আসমা। তখন তাঁর বয়স ছিল প্রায় ১০ বছর। অবশেষে ১৯ বছর পর ফিরে পেলেন তাঁ মা, বাবা ও পরিবারকে।
২০০১ সালে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নবীগর নাওড়ী গ্রাম থেকে চট্টগ্রামের ছোট পোল এলাকায় তাঁর বড় ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে যান। তিনি বাসার বাহিরে এসে পথ ভুল করে হারিয়ে যান। সে সময় রাস্তায় কান্না করতে দেখে জনৈক ফেরদৌসি বেগম তাঁকে পেয়ে নোয়াখালী মাইজদী শহরে নিয়ে আসেন। এরপর জেলার বিটিসিএলের সাবেক উপসহকারী প্রকৌশলী মো. ফরহাদ উদ্দিনের স্ত্রী ফাতেমা জহুরা তাঁকে বাসায় নিয়ে যান। এরপর থেকে তিনি সেখানেই থাকতেন। পরে ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় খোঁজাখুঁজি করে দীর্ঘদিন পর তাঁর মা, বাবাকে খুঁজে পান। এ সময় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
আজ রোববার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আসমার সঙ্গে তাঁর পরিবারের মিলন ঘটিয়ে দেন নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহিদুল্লাহ খাঁন সোহেল।
আজ সকালে পৌরসভার হলে ওই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী ও জেলার সাংবাদিকরা।
হারিয়ে যাওয়া আসমার পরিবারের খোঁজ- খবর নিয়ে তাদের পরিবারের মধ্যে মিলন ঘটানোর জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখেন স্থানীয় সাংবাদিক মেজবাহুল হক মিঠু। তাঁর প্রচেষ্টায় এরকম একটা ভালো কাজ করার জন্য পৌর মেয়র শহিদুল্লাহ খান সোহেল সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান।