৫ টাকা না পেয়ে ৭ বছরের শিশুর হাসুয়ার কোপে মা খুন

মায়ের কাছে বায়না ছিল পাঁচ টাকার। তা না পেয়ে হাতে থাকা হাসুয়া দিয়ে মায়ের বুকে আচমকা কোপ দেয় সাত বছরের শিশু। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজশাহীর পবা উপজেলার বেড়পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নারীর নাম ফাতেমা-তুজ-জোহরা (২৮)। তিনি ওই এলাকার রবিউল ইসলামের স্ত্রী এবং রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বিদিরপুর গ্রামের মৃত কাজিম উদ্দিনের মেয়ে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের দামকুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, স্ত্রীকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গিয়ে রবিউল ইসলাম জানান যে তাঁর সাত বছর বয়সী ছোট শিশু খেলছিল। এ সময় পাঁচ টাকার বায়না করে সে। কিন্তু না দিতে চাওয়ায় সে হঠাৎ করে মায়ের বুকে হাসুয়া দিয়ে কোপ দেয়। পরে মায়ের বুকে রক্ত দেখে সে পাশের ফুফুর বাড়ি চলে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং শিশুটিকে কোলে করে বাড়িতে নিয়ে আসে।
ওসি বলেন, আশপাশের লোকজনকেও জিজ্ঞেস করে রবিউলের কথার সত্যতা পাওয়া গেছে। শিশুটিও একই কথা বলেছে। শিশুটি বুঝতে না পেরে এমন ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছে। এখন পরিবারের সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিহত ফাতেমার মরদেহ রামেক হাসপাতালের হিমঘরে রাখা আছে। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান দামকুড়া থানার ওসি।