‘নোয়া বাহিনী’র ১২ বনদস্যু কারাগারে

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করা ‘নোয়া বাহিনী’র ১২ সদস্যকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে বাগেরহাটের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক গৌতম মল্লিক তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত শনিবার দুপুরে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় র্যাবের আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে আত্মসমর্পণ করেন বনদস্যুরা। এ সময় তাঁরা ২৫টি অস্ত্র ও এক হাজার ১০৫টি গুলি জমা দেন। এরপর সুন্দরবনের বনদস্যু ‘নোয়া বাহিনী’র প্রধানসহ ১২ সদস্যকে শনিবার মধ্যরাতে দুটি পৃথক মামলা দিয়ে বাগেরহাটের মোংলা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
জলদস্যুরা হলেন নোয়া বাহিনীর প্রধান বাকি বিল্লাহ মিয়া (৩৭), মনিরুল শেখ (৩৮), মানজুর মোল্লা ওরফে রাঙ্গা (৪২), মুক্ত শেখ (৩৭), তরিকুল শেখ (৬০), আকবর শেখ (৪২), কিবরিয়া মোড়ল (৪০), জাহাঙ্গীর শেখ ওরফে মেজ ভাই (৪৮), আল আমিন সিকদার (৫০), ইউনুচ শেখ ওরফে দুলাল ঠাকুর (৪০), মিলাদুল মোল্লা ওরফে কালু ডাকাত (২৮) ও মোশারফ হোসেন (৩৭)। তাদের বাড়ি বাগেরহাটের মোংলা ও রামপাল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
এই বনদস্যুদের নামে র্যাব ৮-এর উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) মো. জিয়াউল হক বাদী হয়ে দস্যুতা ও অস্ত্র আইনে আলাদা দুটি মামলা করেন। পরে আজ তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ নিয়ে সুন্দরবন দাঁপিয়ে বেড়ানো আট বনদস্যু বাহিনী র্যাবের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে।
গত শনিবার আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেছিলেন, ‘এখন পর্যন্ত র্যাবের সঙ্গে গোলাগুলিতে জলদস্যুদের প্রধান বা সহকারী প্রধানসহ ৯০ জন মারা গেছে। আমরা বিভিন্ন অপারেশনের মাধ্যমে ২০৮ জন জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের কাছ থেকে ৬৭৪টি অস্ত্র ও ১৯ হাজার ৫৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।’