মাছের ট্রলারে সাড়ে ৪ লাখ ইয়াবা, আটক ৯

কক্সবাজারের গভীর সমুদ্রে একটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে সাড়ে চার লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় মিয়ানমারের পাঁচ নাগরিকসহ আটজনকে আটক করা হয়। পরে ওই ইয়াবার মালিকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আরো ৫০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তাঁকেও আটক করে র্যাব।
শুক্রবার রাতে র্যাবের অভিযানে ইয়াবা বড়িসহ মোট নয়জনকে আটক করা হয় বলে জানান র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. রুহুল আমিন।
আটক ব্যক্তিরা হলেন কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ারছরা এলাকার মো. সুলতান আহম্মদ (৪০), উখিয়া উপজেলার কুতুপালং এলাকার হাবিবুল্লাহ (৩৭), জাহিদ হোসেন (৩০) ও মো. আবদুল হামিদ, খাগড়াছড়ির রামগড় থানাধীন মালবাগান এলাকার মো. মিজানুর রহমান (৪৭), লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার সুজন গ্রামের আবদুর রউফ (৪৫), মংড়-মুন্সিপাড়ার মো. জাহাঙ্গীর (১৯) ও মো. ওসমান গনি (২০) এবং রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার গয়েশ্বর এলাকার মো. রাজ্জাক মিয়া (৫৫)।
শনিবার দুপুরে র্যাব ৭-এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. রুহুল আমিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে একটি দল কক্সবাজারের গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার একটি ট্রলার জব্দ করে। এ সময় ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের একটি দল র্যাবকে সহায়তা করে। পরবর্তী সময়ে ট্রলারটি (এফবি জানিবা খালেদা-১) তল্লাশি করে মাছ রাখার প্রকোষ্ঠের ভেতর লুকিয়ে রাখা সাড়ে চার লাখ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটজনকে আটক করা হয়। মিয়ানমার থেকে আনা ওই ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো কক্সবাজারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
মেজর মো. রুহুল আমিন বলেন, আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে ইয়াবার মালিক মো. সুলতান আহম্মদকে ৫০ হাজার ট্যাবলেটসহ তাঁর বাড়ি থেকে আটক করা হয়। সুলতান মাছ ব্যবসা করেন। তাঁর দুটি ট্রলার আছে। মাছ ব্যবসার আড়ালে তিনি দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসা করছেন।