দেরি করায় পৌর ভূমি অফিসের ৯ জন সাময়িক বরখাস্ত

ঝিনাইদহ পৌর ভূমি অফিসের নয় কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। গত রোববার জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদার এ আদেশে স্বাক্ষর করেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় বিষয়টি জানা গেছে।
মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, ‘সেদিন সকাল ৯টা ১০ মিনিটে আমি অফিসে প্রবেশ করি। এর মধ্যে একজন পিয়ন ছাড়া কেউ উপস্থিত হননি। অফিসের তালা নিজে খুলি। প্রায় আধা ঘণ্টা ওই অফিসে অবস্থান করি। এই সময়ের মধ্যে অফিসে অন্য আর কেউ আসেননি। পরে এলে সরকারিবিধি ১৯৮৫ মোতাবেক অনুপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দিয়েছি।’
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ব্যক্তিরা হলেন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা এম এ কাইয়ূম মুক্ত (বড় নায়েব), ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা (ছোট নায়েব) ফখরুল ইসলাম, তপু রায়হান, রিনা সুলতানা, সাইদুজ্জামান, অফিস সহায়ক গোলাম মোস্তফা, হামিদুর রহমান, তোরাব আলী ও শরিফুল ইসলাম।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া এম এ কাইয়ূম মুক্ত বলেন, জেলা প্রশাসক ঘটনার দিনে সকাল ৯টার দিকে আকস্মিকভাবে ঝিনাইদহ পৌর ভূমি অফিস পরিদর্শনে আসেন। ৯টা ২০ মিনিট পর্যন্ত তাঁরা কেউ অফিসে উপস্থিত হতে পারেননি। সে কারণে তিনিসহ নয়জনকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে, এ ঘটনার খবর গোপন রাখা হলেও আজ সকালে অফিসপাড়ায় এবং সন্ধ্যায় জেলা শহরে ছড়িয়ে হয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জেলা প্রশাসক ঘটনার দিন হঠাৎ করেই সকাল ৯টার দিকে জেলা শহরের নতুন হাটখোলাসংলগ্ন ঝিনাইদহ পৌর ভূমি অফিসে আসেন এবং বড় নায়েবের চেয়ারে বসেন। তখন পিয়ন জয়নাল আবেদীন ঝাড়ু দিচ্ছিলেন। টানা ২০ মিনিট সেখানেই বসেছিলেন জেলা প্রশাসক।
জানা গেছে, জেলা প্রশাসক নিজ কার্যালয়ে ফিরে অনুপস্থিত সবাইকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্তের চিঠি ধরিয়ে দেন।
জেলা প্রশাসক জানান, সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে বিভাগীয় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। বরখাস্তের পর কাইয়ূম মুক্তকে সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে বদদির আদেশ দেওয়া হয়েছে। কার্যক্রম চলমান রাখতে চারজন যোগদান করেছেন।