আনসার ক্যাম্পে অস্ত্র লুটের ‘হোতা’ গ্রেপ্তার, সব অস্ত্র উদ্ধার

কক্সবাজারের টেকনাফের নয়াপাড়ায় আনসার ক্যাম্পে অস্ত্র লুটের ১০ মাস পর ‘মূল হোতা’কে গ্রেপ্তার ও সব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বুধবার এই তথ্য জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-৭) কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশেকুর রহমান।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, অস্ত্র লুটের ঘটনার মূল হোতা রোহিঙ্গা ডাকাত নূর আলমকে আটক করেছে র্যাব। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনিই আনসার ক্যাম্প কমান্ডার পিসি আলী হোসেনকে হত্যা করেছিলেন।
কোম্পানি কমান্ডার আরো জানান, গ্রেপ্তারের পর রোহিঙ্গা ডাকাত নূর আলমকে নিয়ে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু পশ্চিমকূল গহীন পাহাড়ে অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় টেকনাফের আনসার ক্যাম্পের লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্য থেকে উদ্ধার না হওয়া অবশিষ্ট ছয়টি উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার পর আজ বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু এলাকার পশ্চিমকূল গহীন পাহাড়ে অস্ত্র উদ্ধারের স্থানে প্রেস ব্রিফিং হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ ও বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান খান।
ঘটনা অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১২ মে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার নয়াপাড়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে আনসার বাহিনীর শালবন ব্যারাকে গভীর রাতে হামলা চালায় রোহিঙ্গা দুর্বত্তরা। ওই সময় রোহিঙ্গারা ব্যারাক থেকে ১১টি অস্ত্র ও ৬৪০টি গুলি লুট ও আনসার কমান্ডার আলী হোসেনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
ঘটনার পর পরই জুন মাসে রফিকসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে সে সময় কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
ওই ঘটনার দীর্ঘ সাত মাস পর খায়রুল আমিন (বড়) ও মাস্টার আবুল কালাম আজাদ নামের দুজনকে আটক করে র্যাব। তাঁদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নাইক্ষ্যংছড়ির গহীন অরণ্যে অভিযান চালিয়ে আরো একজনকে আটক করা হয় এবং লুট হওয়া পাঁচটি অস্ত্রসহ মোট ১০টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি ১৮৯ রাউন্ড গুলিও উদ্ধার করে র্যাব।