রাজধানীতে নব্য জেএমবির ‘আধ্যাত্মিক নেতা’ আটক
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/03/03/photo-1488532482.jpg)
রাজধানীতে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) নতুন অংশ বা নব্য জেএমবির ‘আধ্যাত্মিক নেতা’ আবুল কাশেম ওরফে বড় হুজুরকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম (সিটি) ইউনিট।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে রাজধানীর সেনপাড়া পর্বতা এলাকা থেকে আবুল কাশেমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আবুল কাশেম দিনাজপুরের রানীরবন্দর এলাকায় একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।
ডিএমপির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নারায়ণগঞ্জে অভিযানে নিহত গুলশান হামলার অন্যতম হোতা হিসেবে পরিচিত তামিম চৌধুরী ও আবুল কাশেমদের যৌথ প্রয়াসে ২০১৩ সালে বাংলাদেশে নব্য জেএমবির জঙ্গিবাদী কার্যক্রমের সূচনা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সে (আবুল কাশেম) সপরিবারে অনেক আগে থেকেই পুরাতন জেএমবির সাথে জড়িত ছিল। সে নব্য জেএমবির বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট-সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যক্রমে তার নিজস্ব মনগড়া ধর্মীয় মতবাদ প্রদান করে দলটিকে হিংস্র করে তোলে। ২০০৯ সালে জেএমবির একাংশের আমির মাওলানা সাইদুর রহমান গ্রেপ্তার হওয়ার পর সে বিদ্রোহী অংশ (নিও জেএমবির) আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিল।’
‘নব্য জেএমবির প্রধান তামিম চৌধুরী, মারজান, হাতকাটা মাহফুজ, উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ডার রাজীব গান্ধী ওরফে জাহাঙ্গীরসহ নব্য জেএমবির গুরুত্বপূর্ণ অনেক নেতা তাঁর অনুরক্ত ছিল। ইতোপূর্বে গ্রেপ্তারকৃত অনেক জঙ্গি সদস্যের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছিল।’
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘একই সঙ্গে ধর্মীয় উগ্রবাদ সম্পর্কিত বেশ কিছু বই লিখেছে, যা নব্য জেএমবির প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে বাধ্যতামূলকভাবে পাঠ্যভুক্ত ছিল। তাঁর লেখা নামে-বেনামে বইগুলোর মধ্যে রয়েছে : ১. দাওলার আসল রূপ, ২. জিহাদ কেন করবেন, ৩. ইসলামী বসন্ত ইত্যাদি।’
এদিকে আবুল কাশেমকে আটকের পর ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলামও প্রায় একই ধরনের বক্তব্য দেন।