বাংলাভাইয়ের নির্দেশে সাংবাদিককে হত্যা করেন রাজীব গান্ধী : পুলিশ
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/03/07/photo-1488884935.jpg)
বগুড়ায় দৈনিক দুর্জয় বাংলার নির্বাহী সম্পাদক দীপঙ্কর চক্রবর্তী হত্যায় জড়িত জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আসাদুজ্জামান নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
ঢাকার গুলশানে স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনায় গত ১৩ জানুয়ারি জাহাঙ্গীর আলমকে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি এ হামলার মূল পরিকল্পনাকারী বলে জানানো হয়। পরের দিন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম (সিটি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম জানান, রাজীব গান্ধী ২২টি হত্যায় সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেন।
এসপি আসাদুজ্জামান জানান, ২০১৬ সালের ১ জুলাই শেরপুর উপজেলার জয়নপুর গ্রামে বোমা বিস্ফোরণ মামলায় রাজীব গান্ধীকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। পরে দীপঙ্কর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত বলে স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি।
রাজীব গান্ধীর জবানবন্দির বরাত দিয়ে আসাদুজ্জামান আরো জানান, জঙ্গি সংগঠন জেএমবির তৎকালীন শুরা কমিটির প্রধান সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাইয়ের নির্দেশে ২০০৪ সালে বগুড়া শহরের জহুরুল নগর এলাকায় ছাত্রাবাসে ভাড়া ওঠেন রাজীব। সেখানে তিনি ও তিন সহযোগী মানিক, সানাউল্লাহ ও নুরুল্লাহকে নিয়ে ওই হত্যার পরিকল্পনা করেন বাংলাভাই।
জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার আরো জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার দিন শেরপুর উপজেলার সানালপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে রাত ৩টায় দীপঙ্করকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে খুন করেন রাজীব ও তার তিন সহযোগী। জেএমবি ও বাংলাভাই সম্পর্কিত খবর প্রকাশ করায় তাঁকে হত্যা করা হয় বলে জবানবন্দিতে জানিয়েছেন রাজীব।
২০০৪ সালের ৩ অক্টোবর শেরপুর উপজেলার সানালপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে কুপিয়ে খুন করা হয় দীপঙ্কর চক্রবর্তীকে। সেদিন রাতেই তাঁর ছেলে সারথী চক্রবর্তী শেরপুর থানায় একটি মামলা করেন। পরবর্তী মামলার দায়িত্ব নেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
২০০৭ সালের জুলাই মাসে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় সিআইডি। প্রতিবেদনে বাদী পক্ষ নারাজি হলে আদালত পুনরায় শেরপুর থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। এরপর মামলাটি হাত বদল হয়ে ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে যায়। শেষ পর্যন্ত মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব ডিবির হাতেই ছিল।