যাদের নির্যাতনে দস্যু বাহিনীতে, ফিরে এসেও তাদের হামলা

সুন্দরবনের দস্যুতা ছেড়ে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেও হামলার শিকার হয়েছেন এক ব্যক্তি। গতকাল সোমবার আদালত থেকে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে মোংলার বৈদ্যমারী এলাকার হাসান সরদার এই হামলার শিকার হন।
আত্মসমর্পণের প্রক্রিয়ায় র্যাবের দায়ের করা মামলায় দুপুরে বাগেরহাট আদালত থেকে হাজিরা দিয়ে বের হন হাসান। এ সময় আদালতের সামনে থেকে তাঁকে ধরে নিয়ে যায় একই এলাকার রুমি চৌকিদার (৩২) ও কান্তা (৩০) সহ কয়েকজন যুবক। পরে তাঁকে বেধড়ক মারপিট করে সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা।
মারধরের শিকার হাসান সরদার বলেন, ‘আমার স্ত্রীকে কয়েক বছর আগে রুমি জোর করে নিয়ে বিয়ে করেন। এরপর মাসখানেক পর রুমির কাছ থেকে পালিয়ে স্ত্রী আমার কাছে চলে আসে। স্ত্রী চলে আসায় রুমি ও তার লোকজন আমাকে বিভিন্ন সময়ে হুমকি-ধমকি ও মারধরসহ নানাভাবে হয়রানি করে আসছিল। একপর্যায়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরেই আমি সুন্দরবনে সাগর বাহিনীর সাথে যোগ দিয়ে দস্যুতা শুরু করি।’
হাসান সরদার আরো বলেন, ‘দস্যুতায় জড়িয়ে পড়লে আমার স্ত্রী শ্বশুরবাড়ি চলে যায়। এরপর গত পাঁচ মাস আগে সাগর বাহিনীর প্রধান সাগরসহ আমরা ১৩ জন র্যাব-০৮ এর মাধ্যমে বরগুনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করি। পরে ফিরে এসে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে থাকি।’
দস্যুতা থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা ওই ব্যক্তি বলেন, ‘স্ত্রীকে নিয়ে যে রুমির সঙ্গে দ্বন্দ্ব, যার অত্যাচারে দস্যুতা শুরু করি তিনি আবার লোকজন নিয়ে হামলা চালিয়ে আমাকে গুরুতর জখম করেছে। এখন আমি কি করব? কেউতো এমনিতেই ডাকাতিসহ খারাপ পথে যায় না?’
বিষয়টি র্যাব ৮-কে জানিয়ে সহায়তা চাইবেন জানিয়ে হাসান বলেন, ‘ওরা আমাকে মারধর করে ফোন নিয়ে গেছে। তাই আমার কাছে র্যাবের ফোন নম্বর না থাকায় গত দুদিনে র্যাবকে বিষয়টি জানাতে পারিনি।’