টেকনাফ স্থলবন্দরে মিয়ানমারের সেনা পোশাক!

টেকনাফ স্থলবন্দরে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিপুল পোশাক, ব্যাজসহ অন্যান্য উপকরণ জব্দ করেছে শুল্ক বিভাগ। সীমান্ত বাণিজ্যের আওতায় টেকনাফ স্থলবন্দরে আসা তেঁতুলবিচি, আচারসহ কয়েকটি পণ্যের সঙ্গে এসব সেনা পোশাক আনা হয় বলে শুল্ক বিভাগ জানিয়েছে।
আজ বুধবার স্থলবন্দরে আসা পণ্য তল্লাশি চালিয়ে এসব উদ্ধার করা হয়।
অভিযান শেষে বুধবার সন্ধায় টেকনাফ স্থলবন্দর শুল্ক কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন সেলিম জানান, সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান মেসার্স রহমান ট্রেডিং ও আমদানিকারক এআর ট্রেডিং শুঁটকি, আচার, তেঁতুলবিচি ও কাপড় আমদানির ঘোষণা দিয়ে এসব সেনা পোশাক আমদানি করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তল্লাশি চালিয়ে শুল্ক বিভাগ তা জব্দ করে। এ ব্যাপারে আইনগত প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
জানা যায়, রহমান ট্রেডিং নামের সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানটির মালিক নূরে আলম সিদ্দিকী নামের এক ব্যক্তি। তিনি চট্টগ্রামের বাসিন্দা। ওই সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্সটি টেকনাফ বন্দরে ব্যবহার করেন আব্দুর রহিম নামের বন্দরের সাবেক অবসরপ্রাপ্ত এক কর্মচারী।
অপরদিকে আব্দুস সালাম প্রকাশ (ড্রাফট সালাম) নামে যশোরের এক ব্যক্তি এআর ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী।
জব্দ সেনা পোশাকের মধ্যে আছে ২০০টি প্যান্ট, ২০০টি শার্ট, ১৮৬টি ব্যাগ, ৪৫২টি বেল্ট, ৩০টি রেইনকোর্ট, ১৮টি বুলেট ব্যাগ, ৫০টি টুপি, ১৮টি গেঞ্জি, ১২৭টি সেনা বাহিনীর ব্যাজ, ২৩০টি বার্মিজ লুঙ্গি, ১৮৮টি স্যান্ডেল। এ ছাড়া ৪৫০ কেজি শুঁটকি, আট হাজার ১০০ কেজি তেঁতুলবিচি এবং ১৩৪ কেজি আচার।
খবর পেয়ে টেকনাফের বিজিবি ২ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে.কর্নেল আবুজার আল জাহিদ স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছেন।