মোংলায় বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল কিশোরী

বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া এক কিশোরীর বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ মোংলা থানার পুলিশের একটি দল।
মোংলার মিঠাখালী গ্রামের শিরিয়া বেগম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যাপীঠের শিক্ষক রুস্তম শেখ জানান, তাঁর স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ফাতেমা উত্তর চাঁদপাই গ্রামের বাসিন্দা নওশের আলীর মেয়ে। গোপনে নওশের আলী মেয়ের বিয়ে ঠিকঠাক করে ফেলেন। গত বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী খুকুমনি ও দশম শ্রেণির ছাত্রী নিপু এ কথা জানায়। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের জানানো হয়। তাঁরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান। তাঁর নির্দেশে মোংলা থানা পুলিশের একটি দল ও মোংলা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাসেল মিয়া আজ শুক্রবার দুপুর ১২টায় কিশোরীর বাড়িতে এসে বিয়ের জন্যে তৈরি প্যান্ডেল ভেঙে দেন ও বিয়ে বন্ধ করেন।
মো. রাসেল মিয়া জানান, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যসহ সবার উপস্থিতিতে ফাতেমার বাবা নওশের আলী ও মা দিলুয়ারা বেগম স্বীকার করেন তাঁরা ভুল করেছেন। তাঁরা লিখিত অঙ্গীকারনামায় স্বীকার করেন। ১৮ বছরের আগে তাঁরা আর মেয়ের বিয়ে দেওয়ার কথা চিন্তা করবেন না।
মোংলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘মোংলা উপজেলার বাল্যবিবাহ বন্ধের জন্য আমরা তৎপর আছি। আমি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব জনপ্রতিনিধি ও শিক্ষকদের এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্যে বলেছি। সবাই সহযোগিতা করলে এ উপজেলায় বাল্যবিবাহ বন্ধ করা সম্ভব হবে।’