তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে সাইবার সিকিউরিটির নেটওয়ার্কিং তৈরিই লক্ষ্য

তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে সাইবার সিকিউরিটির নেটওয়ার্কিং তৈরিই ‘ফিনিক্স সামিট ২০২৫’-এর লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন টিম ফিনিক্সের ফাউন্ডার অ্যান্ড চিফ অব রিসার্চ এএসএম শামিম রেজা।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে তিনদিন ব্যাপী ‘ফিনিক্স সামিট-২০২৫’ সম্মেলনের প্রথম দিনে এনটিভি অনলাইনকে তিনি এ কথা জানান।
এএসএম শামিম রেজা বলেন, দেশে সাইবার সিকিউরিটির একটা কমন প্লেস তৈরি করতে চাই, যেখানে তরুণ প্রজন্মের পাশাপাশি যারা সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করেন, তাদের মধ্যে নেটওয়ার্কিং তৈরি করা। একই সঙ্গে এবারের সামিটে আগত শিক্ষার্থীরা যেন তাদের বিজনেস গোল নির্ধারণ করতে পারেন।
দেশের সাইবার সুরক্ষা, গবেষক, নীতিনির্ধারক ও নৈতিক হ্যাকারদের এক ছাদের নিচে এনে একটি নিরাপদ ডিজিটাল ভবিষ্যৎ গঠনের লক্ষ্যে শুরু হয়েছে এই সম্মেলন।
সম্মেলনের মূল উদ্যোক্তা ও দ্য টিম ফিনিক্সের ফাউন্ডার শামিম রেজা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের যে অংশটা সাইবার সিকিউরিটি কাজ করছে তাদের মধ্যে মেন্টরশিপের অভাব আছে। আমরা তাদের সেই মেন্টরশিপের জায়গাটা নিশ্চিত করতে চাইছি। আমরা তাদের বলছি, তোমরা শেখার পর চাকরি নিয়ে চিন্তা করো না। তাদের জন্যে আমরা ইন্ডাস্ট্রিটা রেডি করে দিচ্ছি। একই সঙ্গে আমাদের বাংলাদেশ সাইবার সিকিউরিটি এইযে এতো কাজ হচ্ছে আমরা সেটাই প্রমাণ করতে চাই।’
তিন দিনের এই সামিটে অন্তত ৫ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণের কথা জানান তিনি।
শামিম রেজা বলেন, ‘আমাদের এই সামিটে তরুণদের আগ্রহ অনেক বেশি। আমাদের রেজিস্ট্রেশন থেকে যেটা দেখতে পেয়েছি এখানে ৫৫ শতাংশ তরুণ অংশ নিয়েছে, বাকিরা প্রফেশনল।’
দ্য টিম ফিনিক্স ইতোমধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের সঙ্গে কাজ করে আসছে। আগামীতেও আরও বেশি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কথা জানান তিনি।
‘আন্তর্জাতিকভাবে আমরা পাঁচটা সংগঠনের সাথে সংযোগ তৈরি হয়েছে। আরও দুটি সংগঠনের সাথে কথা হচ্ছে যারা আন্তর্জাতিকভাবে সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে প্রফেশনালি কাজ করছে। আমরা আগামী অক্টোবরের আগেই এই বিষয়ে ঘোষণা করতে পারবো’-যুক্ত করেন শামিম রেজা।
দেশের সবচেয়ে বড় সাইবার সিকিউরিটি সম্মেলন ‘ফিনিক্স সামিট ২০২৫’-এর আয়োজন নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের এই সামিটকে তিন ভাগে ভাগ করেছি। প্রথম দিনে আমরা রেখেছি ডিফেন্সিভ সিকিউরেটি, দ্বিতীয় দিনের এন্টারপ্রাইজ ডে সিকিউরেটি এবং তৃতীয় ও শেষ দিন রেক্ট্রিম সিকিউরেটি। ডিফেন্সিভ সিকিউরেটি নিয়ে তেমন আইডিয়া নেই। সেটাই ধারণ দিতে চাইছি আমরা।’