গভীর সমুদ্রে আটকা ২২ শ্রমিককে উদ্ধারে গেল জাহাজ

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে গভীর সমুদ্রে বিদেশি জাহাজে আটকেপড়া ২২ শ্রমিককে উদ্ধার করতে নৌবাহিনীর জাহাজ পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে একটি জাহাজ গত সোমবার ঘটনাস্থলে গিয়েও সাগর উত্তাল থাকায় বাণিজ্যিক জাহাজটির কাছে পৌঁছাতে পারেনি। এই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার আরেকটি জাহাজ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, পানামার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি স্টার অথয়া গত ১২ মার্চ ইন্দোনেশিয়া থেকে প্রায় ২৮ হাজার ৫০০ টন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় অবস্থান নেয়। এর পর ২৬ মার্চ সেখান থেকে পণ্য খালাসকাজে যোগ দেয় দেশি ২২ শ্রমিক-কর্মচারী। প্রথম দফায় লাইটার জাহাজে করে দুই হাজার ৫০০ টন কয়লা খালাস করা হয়। ২৮ মার্চ থেকে সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠলে জাহাজটির সঙ্গে নৌযানের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। জাহাজটিতে ২৩ বিদেশি নাবিক ও ক্রু আছেন।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার এম ওয়ালীউল্লাহ জানান, জাহাজটি হিরণ পয়েন্ট থেকে প্রায় ৭০ নটিক্যাল মাইল ও মোংলা বন্দর থেকে প্রায় ১২০ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও সমুদ্র উত্তাল থাকায় কোনো কার্গো ও কোস্টার ওই এলাকায় পৌঁছাতে পারছে না। যে কারণে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না জাহাজটিতে। এ অবস্থায় বিদেশি এ জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট ও স্টিভিডোরস বন্দর কর্তৃপক্ষের সাহায্য চেয়েছে।
কমান্ডার এম ওয়ালীউল্লাহ আরো বলেন, গত সোমবার নৌবাহিনীর একটি জাহাজ ঘটনাস্থলে অবস্থান করলেও বাণিজ্যিক জাহাজটির কাছে ভিড়তে ব্যর্থ হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকালে হিরণ পয়েন্ট থেকে নৌবাহিনীর আরো একটি জাহাজ ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। জাহাজে বাংলাদেশি শ্রমিকরা খাদ্যসংকটে ভুগছেন।
জাহাজটিতে অবস্থানরত ক্রেন ড্রাইভার মো. মাসুদ মোবাইল ফোনে জানান, ২৮ মার্চ থেকে জাহাজে বাংলাদেশি শ্রমিকদের খাদ্য ও পানি সরবরাহ করা হচ্ছে না, যে কারণে শ্রমিকরা খাদ্যসংকটে পড়েছেন।
জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট কসমস শিপিং লাইন্সের খুলনার ব্যবস্থাপক মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, জাহাজ থেকে দেশি সব শ্রমিককে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আবহাওয়া কিছুটা অনুকূলে এলে প্রয়োজনীয় রসদ সরবরাহসহ দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।