মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের নির্বাচন ৭ মে

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের কার্যনির্বাহী কমিটির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন আগামী ৭ মে অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল বুধবার বিকেলে মোংলা বন্দর ভবন চত্বরে কর্মচারী সংঘের সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় তিন সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য তালুকদার আবদুল খালেককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্য দুই সদস্য হলেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন উপব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আবুল কালাম আজাদ ও সচিব (জনসংযোগ) অহিদ উদ্দিন চৌধুরী।
সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন কর্মচারী সংঘের সাবেক সভাপতি মো. সাইজ উদ্দিন মিয়া। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য তালুকদার আবদুল খালেক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর এ কে এম ফারুক হাসান ও বিভাগীয় যুগ্ম শ্রম পরিচালক মো. মিজানুর রহমান।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন কর্মচারী সংঘের নেতা কাজী আজাদুল ইসলাম, খান আলী হোসেন ও কাজী খুরশীদ পল্টু। উপস্থিত ছিলেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (অর্থ) মো. গোলাম মোস্তফা, হারবার মাস্টার কমান্ডার অলিউল্ল্যাহ, পরিচালক ( ট্রাফিক ) মোস্তফা কামাল, পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সেখ আবদুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদ সদস্য সেখ আবদুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা সাখাওয়াত হোসেন মিলন, মো. শফিকুর রহমান, কামরুল আহসান, যুবলীগ নেতা মো. ইস্রাফিল হোসেন, শেখ আল মামুন প্রমুখ।
নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১১ এপ্রিল খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ, ১২ এপ্রিল খসড়া ভোটার তালিকার ওপর আপত্তি গ্রহণ, ১৩ এপ্রিল খসড়া ভোটার তালিকার আপত্তি শুনানি ও নিষ্পত্তি, ১৬ এপ্রিল চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ, ১৬ এপ্রিল মনোনয়নপত্র বিতরণ, ১৭ এপ্রিল মনোনয়নপত্র জমা, ১৮ এপ্রিল মনোনয়নপত্র বাছাই, ১৯ এপ্রিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ২০ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দ, ২০ এপ্রিল চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও ৭ মে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ হবে।
সংসদ সদস্য তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, কর্মচারী সংঘের নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হবে। সাধারণ ভোটাররা তাদের পছন্দ অনুযায়ী প্রার্থীকে ভোট দেবে। রায় যা আসবে, তা সবাইকে মেনে নিতে হবে।
সভায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের সহস্রাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
২০১১ সালে নির্বাচনের মেয়াদ ২০১৩ সালে শেষ হলেও মামলা জটিলতার কারণে দীর্ঘ চারবছর নির্বাচন স্থগিত আছে।