পয়লা বৈশাখে আওয়ামী লীগের শোভাযাত্রা বাতিল

জনভোগান্তির কথা বিবেচনা করে পয়লা বৈশাখে আওয়ামী লীগের শোভাযাত্রা বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এই তথ্য জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা যায়, দুই সপ্তাহ আগে থেকেই এই শোভাযাত্রার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে ওবায়দুল কাদের তা বাতিলের ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামসহ নানা প্রসঙ্গে কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘সরকার কওমি মাদ্রাসার উচ্চশিক্ষার স্বীকৃতি দিয়েছে। আমরা তো হেফাজতের আদর্শের সঙ্গে কোনো কম্প্রোমাইজ করিনি।’
‘সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ভাস্কর্য সরবে রিয়ালিস্টিক কারণে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘৭০ হাজার কওমি মাদ্রাসার ১৪ লাখ ছাত্রছাত্রী বাংলাদেশে আছে। এটা একটা বাস্তবতা। এটাকে আমরা ইগনোর (উপেক্ষা) করতে পারি না, সরকারি স্বীকৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে পারি না। সেটা অবশ্যই বাস্তবতাবিরোধী হবে।’
‘আমরা বাংলাদেশের স্বার্থে, জনগণের আবেগ-অনুভূতি একটা বৃহৎ জনগোষ্ঠী পড়াশোনা করে। তাদের ভবিষ্যৎকে সরকার অন্ধকারে ঠেলে দিতে পারে না। তাদের শিক্ষার স্বীকৃতি দেওয়া উচিত।’
মঙ্গল শোভাযাত্র নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মোগল আমল থেকে পয়লা বৈশাখ আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, নববর্ষ উদযাপন। মঙ্গল শোভাযাত্রার সঙ্গে ধর্মের কন্টাডিকশন আছে- এটা যারা বলে তারা সত্য কথা বলে না। ধর্মের জায়গাকে আমরা আধুনিক করতে চাই, মূল জায়গায় ফিরিয়ে আনতে চাই। ইসলাম আধুনিকতাকে একসেপ্ট করে। আমরা ধর্মের আধুনিকায়ন চাই। ধর্মীয় শিক্ষাকে আধুনিকায়নের দিকে যেতে হবে, এটা বাস্তবতা।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পাঁচ পৃষ্ঠার বক্তব্য গতানুগতিক মিথ্যাচার অন্তঃসারশূন্য অজ্ঞাত তথ্যে ভরপুর। তাঁর বক্তব্যের কোনো সারমর্ম ছিল না। তিনি কিছু চটকদার বায়বীয়, বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করেছেন, যা তাঁর কাছে প্রত্যাশিত ছিল না।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মাহবুব-উল-আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এ কে এম এনামুল হক শামীম, আবদুস সোবহান গোলাপ, ফরিদুন্নাহার লাইলী, হাছান মাহমুদ, আবদুস সবুর, অসীম কুমার উকিল, সুজিত রায় নন্দী, আফজাল হোসেন, শামসুন্নাহার চাঁপা, দেলোয়ার হোসেন, আমিনুল ইসলাম আমিন, বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য এস এম কামাল হোসেন, গোলাম রাব্বানী চিনু, আনোয়ার হোসেন, উপাধ্যক্ষ রেমং আরেং প্রমুখ।