বিএনপির ৩৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

রাজধানীর মিরপুর থানায় দায়ের হওয়া নাশকতার এক মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ও যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমানসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা এ পরোয়ানা জারি করেন।
আজ তাঁদের আদালতে হাজির হওয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তাঁরা আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচারক পলাতক দেখিয়ে এ আদেশ দেন।
চলতি বছরের ১৯ মার্চ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মিরপুর মডেল থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও আমান উল্লাহ আমানসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমানসহ ৩৩ জনকে পলাতক দেখানো হয় এবং বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
পরোয়ানার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী সামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নীরব। আরো রয়েছেন মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, মীর শরাফত আলী সপু, সৈয়দা আসিয়া আশরাফী পাপিয়া।
প্রসঙ্গত, বিএনপি নেতা রফিকুল ও আমান আত্মগোপনে আছেন। বিএনপির আরেক যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী চলতি বছরের গত ৩১ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হওয়ার পর কারাগারে রয়েছেন। এছাড়া, গত ১৬ জুন ৯টি মামলায় পাপিয়া আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে তা নাকচ করে কারাগারে পাঠানো হয়।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের হরতাল-অবরোধ চলাকালে গত ২৫ জানুয়ারি দুপুর পৌনে ২টার দিকে মিরপুর মডেল থানা এলাকার পেট্রলবোমার বিস্ফোরণ এবং যানবাহনে আগুন লাগানোর চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিনই মিরপুর মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) খন্দকার রাজিক আহম্মদ মামলাটি দায়ের করেন।