২৭ চিকিৎসকের মধ্যে আছেন ৫ জন!

বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৭ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র পাঁচজন। জুনিয়র কনসালট্যান্ট ১০ জনের স্থলে একজনও নেই। জরুরি প্রসূতি অস্ত্রোপচার, আল্ট্রাসনোগ্রাফি ও এক্স-রেরও ব্যবস্থা নেই।
মোংলা উপজেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির আলোচনা সভায় এসব তথ্য তুলে ধরেছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. শাহিন।
আজ বুধবার বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাল্টি পারপাস রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ তালুকদার আব্দুল খালেক উপস্থিত ছিলেন।
আরএমও শাহিন হাসপাতালের নানা সমস্যা তুলে ধরে বলেন, জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে একজন অবেদনবিদ (অ্যানেসথেসিস্ট), একজন মেডিসিন ও একজন সার্জারি চিকিৎসক প্রয়োজন। এ ছাড়া বর্তমান ৫০ শয্যার এ হাসপাতালে ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে আগের ৩১ শয্যার। সমস্যা রয়েছে বিভিন্ন ইউনিয়নের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতেও।
হাসপাতালের বিরাজমান সমস্যা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য তালুকদার আবদুল খালেক। তিনি হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্বশীলভাবে কাজ করে সেবার মান উন্নয়নের তাগিদ দেন।
সংসদ সদস্য বলেন, বাংলাদেশ তার লক্ষ্যে পৌঁছেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতায়। এ হাসপাতালের প্রধানের দূরদর্শিতা দিয়ে এখানকার সেবার মান উন্নয়ন করতে হবে। বিদ্যুৎ না থাকার সময়ে যাতে নির্বিঘ্নে সেবা দেওয়া যায় সেজন্য তিনি চলতি মাসেই হাসপাতালের জন্য একটি সোলার প্যানেল দেওয়ার ঘোষণা দেন। পরে তিনি হাসপাতাল এলাকা ঘুরে দেখেন।
হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুন নাহার, মোংলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন নাহার হাই, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মাহবুবুল আলম, চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শান্তনা দাস, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএফপিও) শেখ আবদুর রকিব, সোনাইলতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নাজরিনা বেগম, চাদপাই ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা তারিকুল ইসলাম, মিঠাখালী ইউপি চেয়ারম্যান ইস্রাফিল হাওলাদার, মোংলা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আলাউদ্দিনসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।