হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় সম্পত্তির হিসাব চাওয়ায় ভাইয়ের লাঠির আঘাতে অন্তঃসত্ত্বা বোন নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার সুজাতপুর ইউনিয়নের ইকরাম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ভাই পলাতক। 

এ ছাড়া একই ইউনিয়নে বিষাক্ত পদার্থ পান করে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে উভয়ের লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়। 

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, ইকরাম গ্রামের মৃত মোস্তফা মিয়ার মেয়ে নিলুফা ইয়াসমিন ওরফে ফারজানাকে (১৯) পাশের উত্তর সাঙ্গর গ্রামে বিয়ে দেওয়া হয়। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ফারজানা বাবার বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ভাই মিজানুর রহমানের কাছে পৈতৃক সম্পত্তির হিসাব চান। এ নিয়ে দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে ভাই মিজান তাঁকে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফারজানার মা মধুমালা খাতুন জানান, তাঁর মেয়ে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল।

বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক জানান, ধারণা করা হচ্ছে লাঠির আঘাতে ফারজানার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে মূল কারণ জানা যাবে।

অপরদিকে, বানিয়াচং উপজেলার সুজাতপুর ইউনিয়নের হানিফখান উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র রুমান আহমেদ আজ সকালে বিষাক্ত পদার্থ পান করে ছটফট করতে থাকে। তাকে সদর হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১২টার দিকে মারা যায়।  

রুমানের বড় ভাই শামসুল হক জানান, তাঁরা হাওরে কাজ করছিলেন। হঠাৎ খবর পান তার ছোট ভাই বিষ খেয়েছে। খবর পেয়ে দ্রুত এসে হাসপাতালে নিয়ে যান। কী কারণে তাঁর ভাই বিষ খেয়েছে তিনি জানেন না বলে দাবি করেন।