জুলিয়েট ডিম দিয়েছে ৪৩টি

পূর্ব সুন্দরবনের করমজল বন্য প্রাণী প্রজননকেন্দ্রের কুমির জুলিয়েট এবার ৪৩টি ডিম দিয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে প্রজননকেন্দ্রের পুকুর পাড় থেকে ডিমগুলো সংগ্রহ করে তা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে জুলিয়েট করমজলে ১১ বার ডিম দিয়েছে।
করমজল বন্য প্রাণী প্রজননকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির জানান, কেন্দ্রের কুমির রক্ষণাবেক্ষণ পুকুরের উত্তর পাড়ে মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে ডিম দিতে শুরু করে জুলিয়েট। সকাল ৯টা পর্যন্ত কয়েক দফায় কুমিরটি ৪৩টি ডিম দেয়। পরে ডিমগুলো পুকুর পাড় থেকে তুলে কেন্দ্রের প্রজননকাজে ব্যবহৃত নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। সেখানে নির্দিষ্ট আলো, বাতাস ও তাপমাত্রায় রাখা ডিমগুলো ফুটে ৮৮ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে বাচ্চা বের হবে।
কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কুমির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা আজাদ কবির আরো জানান, ৪৩টি ডিমের মধ্যে তিনটি ডিম লম্বাকৃতির অস্বাভাবিক ধরনের হয়েছে। অন্যগুলোর আকৃতি স্বাভাবিক। এর আগে গত বছর জুলিয়েটের দেওয়া ৫১টি মধ্যে ৩৬টি ডিমের বাচ্চা ফুটে বের হয়। অন্যগুলো নষ্ট হয়ে যায়। করমজল প্রজননকেন্দ্রে বর্তমানে রোমিও (পুরুষ), জুলিয়েট ও পিলপিল (নারী)সহ ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ২১১টি কুমির আছে। এছাড়া এ কেন্দ্র থেকে প্রাপ্তবয়স্ক শতাধিক কুমির বিভিন্ন পর্যটন স্পট ও সুন্দরবনের নদী-খালে অবমুক্ত করা হয়েছে।
বিলুপ্তপ্রায় লবণ পানির প্রজাতির কুমিরের প্রজনন, বংশ বিস্তার ও সংরক্ষণের লক্ষ্যে বন বিভাগের উদ্যোগে ২০০২ সালে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজলের বন্য প্রাণী প্রজননকেন্দ্রের আট একর জায়গাজুড়ে প্রায় ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে কুমির প্রজননকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। গত বছর থেকে এই কেন্দ্রে শুরু হয়েছে বাটাগুর বাসকা প্রজাতির কচ্ছপের প্রজননের কাজও।