পৌর মেয়র যখন হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী!

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়েছে। ‘চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা কমিউনিটি সাপোর্ট কমিটি’ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার উদ্যোগে আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়। এ সময় পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন বিভাগে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়।
‘চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা কমিউনিটি সাপোর্ট কমিটি’ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার চেয়ারপারসন ও পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে পৌর কর্মচারী এবং জেলার সিভিল সার্জন রওশন আরার নেতৃত্বে সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিভাগীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন। এ ছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত অর্ধশত স্বেচ্ছাসেবক এই কাজে সহায়তা করেন। পরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ।
এ সময় সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা জেলা বিএমএর সভাপতি ডা. মার্টিন হীরক চৌধুরী, পৌর প্যানেল মেয়র-১ একরামুল হক মুক্তা, পৌর প্যানেল মেয়র-২ মুন্সি রেজাউল করিম, পৌর কাউন্সিলর, স্বাস্থ্য বিভাগীয় কর্মকর্তারা এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শন শেষে নবাগত জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘আমি নিজেকে পরিচ্ছন্নতাকর্মী ভাবতে স্বাচ্ছন্দবোধ করি। পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সঙ্গে মিশে কাজ করেছি। হাসপাতালটিকে ট্রেনিং গ্রাউন্ড হিসেবে নিতে পারি। পরবর্তী সময়ে চুয়াডাঙ্গা শহরে পরিষ্কার অভিযান চালাতে পারি। একটি বিষয় ভালো লেগেছে ছাত্রলীগের কর্মীরা এ কাজে অংশ নিয়েছে। পৌর মেয়র পজিটিভ, সিভিল সার্জন করিৎকর্মা এবং পজিটিভ।’
পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘সদর হাসপাতাল পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা অভিযান পাইলট প্রকল্প হিসেবে কাজ করা হচ্ছে। এ কাজে বিত্তবানসহ সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। যদি তাঁরা এ কাজে এগিয়ে আসেন, কাজটি এগিয়ে নিতে সহজ হবে।’
মেয়র জানান, হাসপাতালের তৃতীয় তলায় গত ১১ মে গাইনি ও শিশু ওয়ার্ডে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলেছে। এরপর আজ নিচতলার কার্যক্রম চলে। এ কাজে ছয়জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. রওশন আরা বলেন, পৌর মেয়র ছয়জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগের পাশাপাশি বর্জ্য ফেলার জন্য প্রয়োজনীয় ডাস্টবিন দিয়েছেন। এর ফলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হয়েছে। সারা দেশে ১০ সরকারি হাসপাতালকে এ প্রকল্পভুক্ত করা হয়েছে।