চুক্তি ভঙ্গ, মোংলা বন্দরে নৌযান আটক

চুক্তি ভঙ্গ করায় মোংলা বন্দরে আসা মেঘনা ও কাঁচপুর সেতুর পাইপ বহনকারী দুটি নৌযান (পন্টুন) আদালতের নির্দেশে আটক করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকালে বন্দর জেটিসংলগ্ন পশুর নদীতে নৌযান দুটি আটক করা হয়।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ লুৎফর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ভিয়েতনাম থেকে পাইপ বহনকারী ওই নৌযান দুটির নাম নীলাদ্রি ও রিভার কিং-২। তবে আদালতের নির্দেশনা পেতে দেরি হওয়ায় জেরিন, রিভার কিং-১ ও শ্রীগাল নামে আরো তিনটি নৌযান আগেই চলে গেছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিপ্পন এক্সপ্রেস লিমিটেড নামের আমদানিকারক একটি প্রতিষ্ঠান চুক্তি ভঙ্গ ও পাঁচ কোটি টাকা পাওনা পরিশোধ না করায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
গত ১৯ মার্চ চট্টগ্রামের নিম্ন আদালতে মামলাটি করেন মো. হামিদুর রহমান নামের এক ব্যক্তি। মামলায় আসামি করা হয় প্রতিষ্ঠানের মালিক (জাপানি নাগরিক) তামুহিরো তামুরা ও ব্যবস্থাপক রেজাউল আলমকে।
ওই প্রতিষ্ঠানটি কাঁচপুর ও মেঘনা সেতুর জন্য গত ১৯ এপ্রিল ভিয়েতনাম পতাকাবাহী ভিএসএমটু জাহাজে করে তিন হাজার ২০০ মেট্রিক টন পাইপ নিয়ে মোংলা বন্দরে আসে। এ খবরে মামলার বাদী আমদানি করা পণ্য মোংলা বন্দর থেকে ত্যাগ না করাসহ আটকের জন্য গত ২৩ এপ্রিল আদালতে আবেদন করে। পরে নিপ্পন এক্সপ্রেস লিমিটেডের কার্যক্রমের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করে। আদালতের ওই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আজ সকালে নীলান্দ্রি ও রিভার কিং-২ নামে নৌযান পল্টুন দুটি পণ্য নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ আটক করে।
মোংলা-ঘাষিয়াখালী নৌ চ্যানেলের পাইলট ইন্সপেক্টর গোলাম মোস্তফা বলেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জেরিন, শ্রীগাল ও রিভার কিং-১ নামে তিনটি নৌযান ওই প্রতিষ্ঠানের পণ্য নিয়ে আগেই পালিয়ে গেছে।
তবে ওসি শেখ লুৎফর রহমান বলেন, পুলিশের হাতে আদালতের আদেশ কপি পৌঁছানোর পর কোনো নৌযান পালাতে পারেনি। আদেশের কপি আগে হাতে পেলে যারা পালিয়েছে তারাও পালাতে পারত না।