ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ : সাতক্ষীরায় প্রস্তুত ১৩২ আশ্রয়কেন্দ্র

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ ধীরে ধীরে উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সাতক্ষীরায় সম্ভাব্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ১৩২টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হয়েছে।
আজ সোমবার জেলা প্রশাসন দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, এরই মধ্যে জেলাব্যাপী বিশেষ করে উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনির সব ইউনিয়নে মাইকিং করে মানুষদের সতর্ক করা হচ্ছে। শ্যামনগরে দুই হাজার ও আশাশুনিতে এক হাজার ৩০০ স্বেচ্ছাসেবককে সতর্ক রাখা হয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালে ওষুধপত্রও মজুদ রাখা হয়েছে। ওই দুই উপজেলায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বিপদসংকেত আরো বৃদ্ধি পেলে গ্রামবাসীকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা সূত্রে জানা যায়, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আলাদা আলাদা মেডিকেল দল গঠন করা হয়েছে। শুকনো খাবার ও প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য যানবাহন তৈরি রাখা হয়েছে। বিশেষ করে নৌযানগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজ খোলা রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আবুল কাসেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, সুন্দরবনে মাছ ও মধু আহরণকারীদের দ্রুত উপকূলে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। জেলার ১৩২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান জানান, আজ স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) এস এম জগলুল হায়দারের সভাপতিত্বে উপজেলায় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সভা থেকে সব ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিজ এলাকায় সতর্ক করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি মানুষদের সহায়তা দেওয়ার জন্য তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আশাশুনির ইউএনও সুষমা সুলতানা বলেন, তাঁর এলাকার সব আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে। পরিস্থিতির অবনতি হলে গ্রামবাসীকে সরিয়ে নেওয়া হবে।