বন্দরে মহাবিপদ সংকেত, আকাশ পরিষ্কার!

মোংলা বন্দরে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্দরের আকাশে ঝড় বা বৃষ্টি চোখে পড়েনি। দেখা যায়নি ঝড়ের কোনো আলামত।
গতকাল রোববার থেকেই আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিচ্ছে। আজ সোমবার জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ কাল সকালের দিকে উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে।
তবে স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় দেখা গেছে বন্দরের আকাশ পরিষ্কার। কোনো বৃষ্টি নেই। নেই তেমন বাতাসও। ঝড়ের কোনো আলামতই দেখা যাচ্ছে না।
তবে আশ্রয়কেন্দ্রে ও নিরাপদে যাওয়ার জন্য মাইকিংসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে উপজেলা প্রশাসন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল ইসলাম জানান, ঝড়ের আলামত নেই, এ কারণে আশ্রয়কেন্দ্র বা নিরাপদে যাওয়ার ব্যাপারে মানুষের আগ্রহ একটু কম লক্ষ করা যাচ্ছে। এ কারণে প্রশাসন মাইকিংসহ সব ব্যবস্থা নিয়ে রাখছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ মোকাবিলায় মোংলায় ৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলাসহ ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত বন্দরের সব বিভাগের প্রধানদের নিয়ে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় শেষে মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান কমোডর এ কে এম ফারুক হাসান জানান, বন্দরে থাকা দেশি-বিদেশি জাহাজের পণ্য বোঝাই-খালাসের কাজ আজ দুপুর ২টা থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে বন্দর জেটির কনটেইনার ইয়ার্ডের কাজ চলছে। জাহাজসহ অন্য নৌযানগুলো শক্তভাবে নোঙর বা অ্যাংকোরেজ বেঁধে সতর্কাবস্থায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ফারুক হাসান বলেন, বন্দরের হারবার বিভাগে নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে। নৌযান দুর্ঘটনা এড়াতে বন্দরে একটি উদ্ধারকারী টাগবোট প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
মোংলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম জানান, আজ সকালে জরুরি বৈঠক করে উপজেলার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। উপজেলায় একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষের মাধ্যমে প্রত্যেক ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে সতর্কবার্তা জানাতে মাইকে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
ইউএনও বলেন, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এ ছাড়া সরকারি-বেসরকারি বহুতল ভবন খোলা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবার মজুদ করা হয়েছে।
এদিকে মোংলা পোর্ট পৌরসভাও একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ স্থাপন করেছে। পৌরসভার পক্ষ থেকে শহরের মাইকিং প্রচারণা চালানো হচ্ছে।