বরিশালে একজনের ফাঁসি, দুজনের যাবজ্জীবন

বরিশালে কৃষক লীগ নেতা হত্যা মামলায় এক মাদক বিক্রেতাকে মৃত্যুদণ্ড ও দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশ পাওয়া দুজনকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার বরিশালের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সুদীপ্ত দাস এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামি পলাশ প্যাদা, যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশ পাওয়া মরিয়ম বেগম ও জয়নাল আবেদীন রায় ঘোষণার সময় আদালতে ছিলেন।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নিহত সামসুল আলম মৃধা জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগ ও মাদকবিরোধী আন্দোলন কমিটির সভাপতি ছিলেন। তাঁর বাড়ি উপজেলার রাজগুরু এলাকায়। মাদক প্রতিরোধে তিনি মানববন্ধনসহ বিভিন্ন সভা-সমাবেশ করতেন। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে মাদকবিরোধী কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করতেন। এতে উপজেলার চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা মরিয়ম ক্ষুব্ধ হন। পরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন মরিয়মকে ১২ কেজি গাঁজাসহ আটক করে। এই ঘটনার জন্য সামসুলকে দায়ী করেন মরিয়ম। জেল থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর সামসুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি।
২০১৩ সালের ১৬ মার্চ সামসুলকে বাড়ি থেকে ডেকে নেন মরিয়ম ও তাঁর সহযোগীরা। সুগন্ধা নদীর তীরে নিয়ে মরিয়ম, তাঁর সহযোগী পলাশ, জয়নালসহ আরো পাঁচ-ছয়জন ইট দিয়ে আঘাত ও শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে নদীর তীর থেকে ওই কৃষক লীগ নেতার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই ঘটনার পর কৃষক লীগ নেতার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মতিয়ার রহমান ২০১৩ সালের ১৬ নভেম্বর তিনজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন। মামলায় ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ ওই রায় দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণা শেষে আসামিদের কারাগারে নেওয়ার সময় মরিয়ম বেগম চিৎকার করে বলতে থাকেন, তিনি ন্যায্যবিচার পাননি।