বান্দরবানে বৌদ্ধভিক্ষু হত্যা : তিন ‘জঙ্গি’ কারাগারে
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/05/29/photo-1496076443.jpg)
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় বৌদ্ধভিক্ষু মংসই উ (৭৮) হত্যা মামলায় তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে বান্দরবানের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আবু হানিফ তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ওই আসামিরা হলেন সীতাকুণ্ড জঙ্গি আস্তানা থেকে গ্রেপ্তার জহিরুল হক, তাঁর স্ত্রী রাজিয়া বেগম ও কুমিল্লার জঙ্গি আস্তানা থেকে পালানোর সময় গ্রেপ্তার মাহমুদুল হাসান। তাঁদের মধ্যে জঙ্গি দম্পতির বাড়ি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের যৌথ খামারপাড়ায় ও মাহমুদুলের বাড়ি বাইশারী ইউনিয়নের লম্বাবিল এলাকায়।
মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গত বছরের ১৪ মে নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়নের উত্তর চাকপাড়া বৌদ্ধ বিহারের (ক্যায়াং) প্রধান ভিক্ষু মংসই উকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। দুই বছর আগে প্রতিষ্ঠা হয় ওই বৌদ্ধ বিহারটি। এর পর থেকেই বিহারের প্রধান ভিক্ষু হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন মংসই। তিনি বৌদ্ধ ধর্মীয় রীতিনীতি অনুসরণ করে ভিক্ষুর দায়িত্ব পালন করছিলেন। ভিক্ষুকে হত্যার ঘটনায় তাঁর ছেলে চিংসাউ চাক নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
ওই মামলায় তিন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কড়া নিরাপত্তায় আজ আদালতে হাজির করা হয়। পরে বিচারক অভিযোগ আমলে নিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ ছাড়া ওই মামলায় হ্লামং চাক, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক জিয়া উদ্দিন ও রহিম নামে আরো তিনজনকে গত বছর গ্রেপ্তার করা হয়।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শম্পা রানী সাহা বলেন, বাইশারীতে বৌদ্ধভিক্ষু হত্যা মামলায় ওই তিন জঙ্গির সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাদের আজ আদালতে নেওয়া হলে বিচারক কারাগারে পাঠান।
গ্রেপ্তার হওয়া ওই তিন জঙ্গিকে গতকাল রোববার চট্টগ্রাম কারাগার থেকে বান্দরবান জেলহাজতে আনা হয়। সেখান থেকে আজ বৌদ্ধভিক্ষু হত্যা মামলায় আদালতে হাজির করা হয়।