মোংলা বন্দরে ডুবে যাওয়া কার্গোর উদ্ধারকাজ শুরু

বাগেরহাটের মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়ায় সিমেন্টের কাঁচামাল নিয়ে ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজটি উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। ঘটনার তিন দিন পর অবশেষে এই কার্যক্রম শুরু হলো।
আজ বুধবার দুপুরে স্থানীয় মেসার্স খানজাহান আলী স্যালভেজ এন্টারপ্রাইজের ২০ সদস্যের একটি ডুবুরি দল কার্গোটি উত্তোলনের কাজ শুরু করেছে। উদ্ধার অভিযানের শুরুতেই তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে জাহাজের ভেতরের হ্যাচ বা কেবিনে থাকা প্রায় ৮৭০ টন স্যালাগ অপসারণে কাজ করেন। ডুবন্ত জাহাজের ভেতর থেকে স্যালাগ বের করে পাশের অন্য আরেকটি নৌযানে রাখা হচ্ছে।
কার্গো জাহাজের মাস্টার নজরুল ইসলাম জানান, পণ্য উত্তোলন শেষে জাহাজটি যখন হালকা হবে, তখন জাহাজটির নিচ ও চারপাশে লোহার তার পেঁচিয়ে এবং ডুবন্ত কার্গোর দুপাশে দুটি বার্জের মাধ্যমে আটকে টেনে তোলা হবে। সপ্তাহখানেকের মধ্যে জাহাজটি উত্তোলন করা সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মেসার্স খানজাহান আলী স্যালভেজ এন্টারপ্রাইজের মালিক আবুল কালাম জানান, চুক্তির ভিত্তিতে জাহাজটি উত্তোলনের কাজ পেয়েছেন তাঁরা। আজ দুপুরে কাজ শুরুর পর প্রথমে জাহাজের ভেতরের মালামাল অপসারণ করা হচ্ছে। এরপর জাহাজটি উত্তোলনের কাজ শুরু করা হবে। জাহাজটি উত্তোলনের জন্য চট্টগ্রাম থেকে দুটি বার্জ ও ক্রেন ভাড়া করা হয়েছে বলেও জানান আবুল কালাম। এই বার্জ ও অন্যান্য সরঞ্জাম ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছাতে আরো চার/পাঁচ দিন সময় লাগবে। সব মিলিয়ে আগামী ১০/১২ দিনের মধ্যে তাঁরা জাহাজটি উদ্ধার করতে পারবেন বলেও আশা করেন তিনি।
এদিকে, বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়া ফরেস্ট অফিসসংলগ্ন সুন্দরবনে স্যালাগবোঝাই কার্গো ডুবির ঘটনায় জলজ ও প্রাণিজ সম্পদের কোনো ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে কাজ শুরু করেছে খুলনার পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন বিভাগ।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সাইদুল ইসলাম জানান, সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে পানি সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ শুরু করেছেন তাঁরা।
গত রোববার রাতে হাড়বাড়িয়ার ৪ নম্বর অ্যাংকোরেজে থাকা বিদেশি জাহাজ এমভি ‘আতিকি এসবি’ থেকে প্রায় ৮৭০ টন স্লাগ (সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল) বোঝাই করে এমভি সেবা খুলনার রূপসায় সুনসিং সিমেন্ট ফ্যাক্টরির ঘাটের উদ্দেশে ছাড়ে। এ সময় হঠাৎ বিদেশি জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে কার্গো জাহাজটির তলা ফেটে ডুবে যায়।