পার্বত্য চট্টগ্রামের সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও হিল উইমেনস ফেডারেশনের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। খাগড়াছড়িতে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে। 

গতকাল বুধবার রাতে খাগড়াছড়ি ৩২ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নায়েক সুবেদার আবদুল হক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক মো. আবদুল হান্নান জানান, মামলায় ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ২০-৩০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। 

মামলায় ইউপিডিএফের সংগঠক মিঠুন চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বিপুল চাকমা ও হিল উইমেনস ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদিকা দ্বিতীয়া চাকমার নাম আছে বলে জানা যায়। 

এদিকে দুপুরে আটক উইমেনস ফেডারেশনের আট নেত্রীকে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম রোকেয়া বেগমের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত ৮ আসামির মধ্যে পাঁচজনের জামিন মঞ্জুর করেন। 

গতকাল বৃহস্পতিবার স্বনির্ভর এলাকায় কল্পনা চাকমা অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে হিল উইমেনস ফেডারেশন মিছিল ও সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশ ও বিজিবি বাধা দিলে উভয় পক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এতে তিনজন বিজিবি সদস্যসহ ছয়জন পুলিশ সদস্য ও হিল উইমেনস ফেডারেশনের ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আটক করা হলেও যাচাই বাছাই শেষে রাতে আটজনকে আটক রেখে বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

এদিকে খাগড়াছড়ি জেলার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসক রাশেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় জেলায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে প্রশাসনের পূর্ব অনুমতি ছাড়া আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত খাগড়াছড়ি জেলায় খোলা স্থানে সকল প্রকার সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।

সভায় পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, পুলিশ সুপার আলী আহম্মেদ খান, সেনা কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।