লন্ডন যাচ্ছেন আশরাফ!
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/07/10/photo-1436537265.jpg)
সাংগঠনিক আর দাপ্তরিক কাজে ‘সমানতালে অবহেলায়’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে দপ্তর হারাতে হয়েছে বলে ‘প্রচলিত ধারণার’ কথাই বলছেন দলের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা। পাশাপাশি তাঁরা এটাও বলছেন, এ মুহূর্তে আশরাফের মতো বিশ্বস্ত নেতাকে গুরুত্বপূর্ণ এ মন্ত্রণালয় থেকে সরানো কোনোভাবেই যুক্তিযুক্ত হয়নি।
যদিও বিষয়টি নিয়ে দলের অধিকাংশই প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছেন না বা এড়িয়ে যাচ্ছেন। তবে দলের সম্পাদকমণ্ডলী ও সভাপতিমণ্ডলীর নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছয়জন নেতা জানান, আদতে ‘সুযোগকে’ কাজে লাগিয়ে দলের ‘আশরাফ-বিরোধী বলয়’ অবশেষে জয়ী হয়েছে।
আবার আরেকটি অংশ বলছেন, প্রধানমন্ত্রী আশরাফের সঙ্গে আলোচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তবে আশরাফ-ঘনিষ্ঠরা একটি বিষয় নিশ্চিত করেছেন যে, পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে খুব শিগগির তিনি দেশের বাইরে যাচ্ছেন। খুব সম্ভবত সেটা আগামী ১৫ জুলাই। তাঁরা আরো জানান, আশরাফের স্ত্রী ও মেয়ে লন্ডনে থাকেন। তিনি সেখানেই যাবেন। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, সেটি ১৫ দিনের সফর। তবে ঠিক ১৫ দিন পরেই তিনি ফিরে আসবেন এমনটি আবার নিশ্চিত করেননি আশরাফ-ঘনিষ্ঠরা। সূত্রটি আরো নিশ্চিত করেছে, এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন আগামী দু-তিনদিনের মধ্যে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসবেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের (এলজিআরডি) মন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে ওই পদে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে দায়িত্ব দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি আগের মন্ত্রণালয়ে (প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের) অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন এবং সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দপ্তরবিহীন মন্ত্রী থাকবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত বছরের জানুয়ারিতে শেখ হাসিনা টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর দলে তাঁর সবচেয়ে বিশ্বস্ত হিসেবে পরিচিত আশরাফের বাদ পড়ার মধ্য দিয়ে কার্যত প্রথম পরিবর্তন হলো। এর আগে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ পড়েন। তবে তাঁর মন্ত্রণালয় কাউকে দেওয়া হয়নি। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী আশরাফের অব্যাহতির গুঞ্জনের শুরু হয় গত মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায়। সেদিন বৈঠকে অনুপস্থিত থাকায় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার গুঞ্জন ওঠে। তবে ওই দিন সন্ধ্যায় নিজ জেলা কিশোরগঞ্জ শহরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত ইফতারে অংশ নেওয়ার সময় তিনি বিষয়টিকে গুজব বলে অভিহিত করেন। আর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকেও জানানো হয়, সরকারের পক্ষ থেকে তারা এমন কোনো সংকেত পায়নি।
সূত্র আরো নিশ্চিত করে, সৈয়দ আশারাফের দলীয় কাজে ও দাপ্তরিক কাজে অবহেলা এতদিন আমলে না নিলেও সর্বশেষ একনেক সভায় সৈয়দ আশরাফের অনুপস্থিতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষুব্ধ করেছে। ওই বৈঠকে আশরাফের অনুপস্থিতি নিয়ে জ্যৈষ্ঠ কয়েকজন মন্ত্রী তাঁর দায়িত্বে অবহেলা নিয়ে নানা রকম নেতিবাচক কথাও বলেছেন। তারই ফলশ্রুতিতে দপ্তরবিহীন করা হয়েছে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে। শুধু তাই নয়, গত সপ্তাহে দুই দফায় আশরাফের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁকে দল ও সরকারের কাজে সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
তবে গত দুই দিন আগে আশরাফকে নিয়ে মিডিয়ায় ফলাও করে সংবাদ পরিবেশনের পরে আশরাফ নিজেও এ মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী হিসেবে থাকতে আর রাজি নন বলে আশরাফের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র নিশ্চিত করে।
তাই আশরাফ গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্তে বৈঠক করে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকতে অপারগতা প্রকাশ করেন। আশরাফ জানান, তিনি অসুস্থ। শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা অনুভব করছেন, তাতে তিনি মন্ত্রণালয়ের কাজে সময় দিতে সক্ষম নন। মন্ত্রণালয়ের কাজে গতি আনতে সেখানে অন্য কোনো নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর অনুরোধ রেখেছেন বলে আশরাফ-ঘনিষ্ঠরা নিশ্চিত করেছেন।
তবে সূত্রটি আরো নিশ্চিত করেন, সৈয়দ আশরাফের মন্ত্রণালয়ে অনুপস্থিতির পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। এ মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পরে তাঁর মন্ত্রণালয়ে অনেক বড় দুই তিনটি কাজ হয়েছে তাঁর নজরের বাইরে, যা তিনি ‘পজিটিভ’ভাবে নেননি।
এদিকে অন্য একটি সূত্র জানায়, মন্ত্রণালয়ে আশরাফের অনুপস্থিতির পেছনে তাঁর একান্ত সহকারী (এপিএস) কাজী সেলিমের ভূমিকা রয়েছে। মন্ত্রীর এপিএস হিসেবে যথাযথ দায়িত্ব পালন করেননি তিনি। দীর্ঘ মেয়াদে এপিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় তাঁর প্রতি নির্ভর হয়ে পড়েন সৈয়দ আশরাফ। সেই সুযোগ সেলিম নানাভাবে নিতেন।
কয়েক দিন ধরে মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে পারে বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে, বিশেষ করে সরকারি দলের মধ্যে আলোচনা চলছিল। এরই মধ্যে মঙ্গলবার আকস্মিকভাবে সৈয়দ আশরাফকে অপসারণ বা তাঁর সরে যাওয়া নিয়ে আলোচনা হয়।
একনেক সভায় এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে মন্ত্রীদের অনেকেই ধারণা প্রকাশ করেন, তাঁকে অপসারণের সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে যাচ্ছে। একনেক সভা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে একান্তে কথা বলায় গুঞ্জন আরো জোরদার হয়। তবে মন্ত্রিসভায় রদবদল ও দপ্তর বণ্টনের দাপ্তরিক কাজ করা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইয়া তখন বলেছিলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো নির্দেশনা নেই।’
সেই দিন একনেক সভায় উত্থাপনের জন্য আটটি প্রকল্প তালিকায় প্রথমেই ছিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ‘অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’। পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ সভার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পরপরই প্রথম প্রকল্প হিসেবে এ প্রকল্প পাসের জন্য ওঠানো হয়। পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য এ এন সামসুদ্দিন আজাদ চৌধুরী প্রকল্পটির কার্যক্রম বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন না।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তখন বলেন, ছয় হাজার কোটি টাকার এত বড় প্রকল্প খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দুজন মন্ত্রী রয়েছেন, একজনও আসেননি। তাই এ প্রকল্প একনেক সভা থেকে প্রত্যাহার করা হোক।
তাঁদের মতামত নিয়ে প্রকল্পটি পাস করা দরকার। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঠিক আছে, মনে করেন আমিই মন্ত্রী। প্রকল্পটা প্রত্যাহার করবেন না।’ প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘ঠিক আছে, উনি যখন মিটিংয়ে আসেন না, আমি ওনাকে সরিয়ে (চেঞ্জ করে) দিচ্ছি। এখানে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আছেন, আজকেই চেঞ্জ করতে বলব।’ এরপর একনেক সভার নিয়মিত কার্যক্রম চলতে থাকে। সভা শেষে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে প্রায় আধাঘণ্টা কথা বলেন।
জানা যায়, ওই সময়েই মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইয়াকে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফকে দফতরবিহীন মন্ত্রী এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়ে তাঁর কাছে ওই দিনই সামারি (সার-সংক্ষেপ) পাঠাতে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দপ্তরে ফিরে সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সামারি পাঠান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছানো হয়।
ওই দিন প্রধানমন্ত্রী সামারিতে স্বাক্ষর করেননি, ফাইলটি রেখে দেন। গতকাল বৃহস্পতিবার এতে সই করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করে।
মঙ্গলবারেই একনেক সভার পর সৈয়দ আশরাফ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সংসদের কার্যালয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা একান্তে আলাপ করেন। ওই দিন বিকেলে চলে যান নিজের নির্বাচনী এলাকায়। কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ইফতার মাহফিলে অংশ নেন। ইউনিয়ন পর্যায়ের নতুন নেতাদের সঙ্গে পরিচিত হন। ওই সময় মন্ত্রণালয় থেকে তাঁর অব্যাহতি দেওয়ার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ার মধ্যে সৈয়দ আশরাফ গুজবে কান না দিতে সাংবাদিকদের পরামর্শ দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার ঢাকায় এসে বিকেলে যখন যুবলীগের ইফতারে অংশ নেন, তখন তিনি দফতরবিহীন মন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের টানা দ্বিতীয়বার দায়িত্ব পাওয়া স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে নিয়মিত অফিস করতেন না আশরাফ। এ নিয়ে নানা সমালোচনাও শুনতে হয়েছে আশরাফকে। তবে এ জন্য মন্ত্রণালয়ের কোনো কাজ আটকে থাকেনি। কর্মকর্তারা তাঁর বাসা থেকে ফাইল স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে আসতেন।
জানা যায়, নির্লোভ সৈয়দ আশরাফ মন্ত্রণালয় হারানোর পর কোনো খেদ দেখাননি। গতকালই যুবলীগের ইফতারে অংশ নিয়েছেন। বক্তব্যও দিয়েছেন। তবে দফতর হারানোর বিষয়ে কিছু বলেননি। পরে সেখান থেকে সোজা চলে আসেন বেইলী রোডের বাসায়।
সাত বছর ধরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সামলে আসা ৬৩ বছর বয়সী সৈয়দ আশরাফ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদেও রয়েছেন প্রায় একই সময়কাল। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের বন্দি হওয়ার প্রেক্ষাপটে দলে সাধারণ সম্পাদকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের ভার আসে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহকর্মী সৈয়দ নজরুলের ছেলে আশরাফের ওপর। তখন বিরূপ পরিস্থিতিতে আশরাফের সফলতার মধ্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল পরে মুক্তি পেলেও দায়িত্বে আর ফিরতে পারেননি। পরে ২০০৯ সালে কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন আশরাফ। তার আগে ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে শেখ হাসিনার সরকারে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি। ২০১৪ সালে শেখ হাসিনা পুনরায় সরকার গঠন করলে দলের সাধারণ সম্পাদককে একই মন্ত্রণালয়ই দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলো সরকার গঠনের ক্ষেত্রে সাধারণ সম্পাদককে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বটি দিতে স্বচ্ছন্দ। এর আগে শেখ হাসিনার সরকারে জিল্লুর রহমানও একইভাবে এই মন্ত্রণালয়ে ছিলেন। বিএনপির ক্ষেত্রেও একই বিষয় দেখা যায়।
কিশোরগঞ্জের এমপি আশরাফ ছাত্রজীবনে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর জেলখানায় সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর লন্ডনে চলে যান তিনি।
সেখানে আওয়ামী লীগে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর শেখ হাসিনার ওই সরকারে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী হন।
১৯৯৬ সাল থেকে প্রতিটি সংসদ নির্বাচনেই এমপি নির্বাচিত হয়ে আসছেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ চার সহচরের মধ্যে তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে তানজীম আহমদ সোহেল তাজ ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার সরকারে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন। পরে তিনি পদত্যাগ করেন। জাতীয় চার নেতার পরিবারের মধ্যে এম মনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ নাসিম বর্তমান সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীরও সদস্য।
তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে সিমিন হোসেন রিমি ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানের ছেলে খায়রুজ্জামান লিটন আছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে।