বান্দরবানে পাহাড়ধসে নিখোঁজ, লাশ মিলল বাঁশখালীতে
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/07/25/photo-1500991852.jpg)
বান্দরবানের রুমা সড়কে পাহাড়ধসে নিখোঁজ পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের স্বাস্থ্য সহকারী মুন্নি বড়ুয়ার (৩৫) লাশ মিলল বাঁশখালী নদীতে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পরিবারের সদস্যরা লাশ শনাক্ত করেন।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর জানান, গতকাল রাতে বৃষ্টির সময় বাঁশখালী নদীতে এক নারীর লাশ ভেসে আসে। লাশ উদ্ধার করে ছবি থানার ফেসবুক পেজে দেওয়া হয়। এরপর আজ দুপুরে নিহতের পরিবারের সদস্যরা থানায় যোগাযোগ করে লাশটি শনাক্ত করেন। তাঁরা জানান, নিহত নারীর নাম মুন্নি বড়ুয়া (৩৫)। তিনি রুমা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের স্বাস্থ্য সহকারী ছিলেন। গত রোববার বান্দরবানের রুমা সড়কে পাহাড় ধসে পড়ে তিনি নিখোঁজ হন। মুন্নি বড়ুয়ার স্বামীর নাম অমর বড়ুয়া।
নিহতের ছোট ভাই সাংবাদিক রাহুল বড়ুয়া ছোটন বলেন, ‘বাঁশখালী নদীতে পাওয়া লাশটি আমার বড় বোনের। গত রোববার কর্মস্থলে যাওয়ার সময় রুমা সড়কে পাহাড়ধসে আমার বোনসহ পাঁচজন নিখোঁজ হয়। পাহাড়ধসে ছড়ার পানিতে ভেসে লাশটি সাঙ্গু নদী হয়ে ভেসে যায় বাঁশখালীতে।’
বান্দরবানের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ইউনিট অফিসার ইকবাল হোসেন জানান, গত রোববারের পাহাড়ধসে কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা গৌতম নন্দী, ডাক বিভাগের কর্মচারী মো. রবিউল ও স্থানীয় পাড়ার প্রধান মং শৈহ্লার বড় মেয়ে উমেচিং মারমা এখনো নিখোঁজ আছেন। তাঁদের খোঁজে ঘটনাস্থলের আশপাশে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে বৃষ্টির কারণে উদ্ধার তৎপরতা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
গত রোববার বান্দরবানের রুমা সড়কের দলিয়ান পাড়া এলাকায় দুটি বাসের যাত্রীরা বাস পরিবর্তনের জন্য পাহাড়ধসে বিধ্বস্ত ভাঙা সড়ক হেঁটে পার হচ্ছিলেন। এ সময় বৃষ্টিতে পাহাড়ধসে পাঁচজন নিখোঁজ হয়। আহত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করা হয়। ওই দিনই ঘটনাস্থল থেকে পাড়াপ্রধান মং শৈহ্লার ছোট মেয়ে কলেজছাত্রী চিংমে হ্লা (১৮) এবং তৃতীয় দিন অমর বড়–য়ার স্ত্রী মুন্নি বড়–য়ার (৩৫) লাশ বাঁশখালী নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।