সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারে অনুমতি লাগবে

ফৌজদারি মামলা হলেই সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তার করা যাবে না। গ্রেপ্তার করতে হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে। তবে ওই মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়ার পর আদালত তা অনুমোদন করলে গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে সরকারের অনুমতি লাগবে না।
urgentPhoto
এ বিষয়কে রেখেই সরকারি কর্মচারী আইন, ২০১৫ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। স্বাধীনতার পর সরকারি কর্মচারীদের শৃঙ্খলা সংক্রান্ত এটিই প্রথম আইন হবে।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই আইন প্রণয়নের উদ্যোগ সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। অনেক বছর ধরে এই আইন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সংবিধানের ১৩৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীদের নিয়োগ, পদায়ন, পদোন্নতি, শৃঙ্খলা বিধান প্রভৃতির জন্য এই আইন করা জরুরি ছিল। মন্ত্রিসভা আজ নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগের ভ্যাটিং সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পুনরায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে উত্থাপন করা হবে।’
সচিব আরো জানান, আইনের খসড়ায় ১০টি ক্ষেত্রে এই আইন প্রয়োগের জন্য বিধিমালা প্রণয়নের কথা বলা হয়েছে। এই বিধিমালার মাধ্যমে সরকারি কর্মচারীদের চাকরি নিয়ন্ত্রিত হবে।
এত দিন সরকারি কর্মচারীরা কীভাবে পরিচালিত হবে- প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সংবিধানে বলা আছে আইন না হওয়া পর্যন্ত অন্যান্য বিধিমালার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেন, ফৌজদারি মামলা হলেই সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তার করা যাবে না। আদালত মামলার অভিযোগপত্র অনুমোদন করলে গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে সরকারের অনুমতি লাগবে না। এর আগে গ্রেপ্তার করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। অন্যদিকে সরকারি কর্মচারীরা যদি চাকরি বিধি লঙ্ঘন বা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেন তাঁদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে। এটি আইনের স্বাভাবিক কার্যক্রম।