‘ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজকে হত্যা করা হয়েছে’

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক দিয়াজ ইরফানকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। আজ রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হুমায়ুর কবির সরকার এ তথ্য জানান।
এএসপি হুমায়ুন এনটিভি অনলাইনকে জানান, দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আগামীকাল সোমবার বিকেলে তাঁদের হাতে এসে পৌঁছাবে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহামুদ তদন্তকারী কর্মকর্তাকে দিয়াজ হত্যার প্রাথমিক আলামত হিসেবে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা জানিয়েছেন।
গত বছরের ২০ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আবাসিক এলাকার ভাড়া বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দিয়াজের লাশ উদ্ধার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নেতৃত্বে পুলিশ। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ প্রথম তদন্ত রিপোর্টে দিয়াজ আত্মহত্যা করেছে এমন রিপোর্টের পর দিয়াজের পরিবার তা প্রত্যাখ্যান করে।
২৪ নভেম্বর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা দিয়াজ ইরফান হত্যার ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন ও ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপুসহ ১০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন নিহতের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী।
চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিবলু কুমার দে আগামী এক মাসের মধ্যে ঘটনাটি তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন।
বাদীর আইনজীবী রোবেল পাল জানান, মামলায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা দিয়াজ ইরফানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামশেদুল আলম, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন, ছাত্রলীগ সভাপতি আলমগীর টিপু, চবি ছাত্রলীগের আপ্যায়ন সম্পাদক মিজানুর রহমান, ছাত্রলীগ নেতা রাশেদুল আলম, আবু তোরাব পরশ, মুনসুর আলম, আবদুল মালেক, মো. আরমান ও আরিফুর রহমান তপুকে আসামি করা হয়েছে।
আইনজীবীরা জানান, হাটহাজারী থানা বাদী পক্ষের কোনো মামলা না নেওয়ায় তাঁরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন।