ছেলের বিরুদ্ধে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ

নির্মল বৈরাগী (৬৫) নিজের ছেলে প্রহ্লাদ বৈরাগীকে (৩৫) সব সময় কাছে কাছে রাখতেন। স্বজনদের দাবি, প্রহ্লাদের মানসিক সমস্যা ছিল। তিনি যেন কারো কোনো ক্ষতি করতে না পারেন সে জন্য ছেলেকে নিজের কাছে রাখতেন বাবা।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কুড়ালের আঘাতে নিহত হয়েছেন নির্মল বৈরাগী। অভিযোগ উঠেছে, ছেলে প্রহ্লাদই কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন তাঁর বাবাকে।
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার বাঁকা ভবানীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রহ্লাদকে আটক করেছে। একই সঙ্গে উদ্ধার করেছে একটি কুড়াল।
নিহত নির্মল বৈরাগী স্বর্ণ ব্যবসায়ী ছিলেন।
পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, নির্মল বৈরাগী তাঁর ছেলে প্রহ্লাদ বৈরাগীকে নিয়ে প্রতিদিনের মতো ঘুমিয়ে ছিলেন। ছেলে প্রহ্লাদের মানসিক সমস্যা থাকায় নির্মল বৈরাগী তাঁকে সব সময় কাছে কাছে রাখতেন। যেন কারোর কোনো ধরনের ক্ষয়-ক্ষতি না করতে পারেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের কোনো একসময় প্রহ্লাদ ঘরে থাকা কুড়াল দিয়ে তাঁর বাবা নির্মলকে কুপিয়ে জখম করেন। প্রচণ্ড রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই নির্মল মারা যান। স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক গৌতম সরকার নির্মল বৈরাগীকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ নিহতের বাড়ি থেকে প্রহ্লাদকে আটক করে। পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের বড় ভাই পরিমল বৈরাগী বাদী হয়ে প্রহ্লাদের নামে পাইকগাছা থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নাজির সরদার জানান, ৯-১০ বছর আগে প্রহ্লাদের বিয়ে হয়। বিয়ের দুই বছর পর প্রহ্লাদের মানসিক সমস্যা দেখা দেয়।
পাইকগাছা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, প্রহ্লাদকে আটক করা হয়েছে। তবে তাঁর মানসিক সমস্যা আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।