ময়না পাখির ডাক শুনে মিলল মা-ছেলের লাশ

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার তাফালবাড়ী বাজারে মা ও শিশু ছেলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় এক মাস বয়সী এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। বাড়ির পোষা ময়না পাখির ডাক শুনে আজ মঙ্গলবার বিকেলে তাদের উদ্ধার করা হয়।
নিহত দুজন হলেন শরণখোলার তাফালবাড়ী বাজারের স্বর্ণকার অপু কর্মকারের স্ত্রী শম্পা কর্মকার (২৫) ও তাঁর শিশু ছেলে অরণ্য কর্মকার (৪)। জীবিত উদ্ধার করা এক মাস বয়সী শিশুর নাম অর্ণব।
পুলিশের ধারণা, এক ছেলেকে হত্যা ও অপর ছেলের গলায় ফাঁস লাগানোর পর মা আত্মহত্যা করেছেন।
স্থানীয় তাফালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন জানান, আজ সকালে অপু কর্মকার একটি ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলে করে ব্যবসায়িক কাজে খুলনায় যান। সকাল থেকে দোতলা ঘরের দরজায় রাখা একটি পোষা ময়না পাখি তাঁর দুই ছেলে অরণ্য ও অর্ণবকে ডাকাডাকি শুরু করে। সকাল থেকে ময়না পাখির ডাকে কেউ সাড়া না দেওয়ায় স্থানীয়রা অপুর বাসায় গিয়ে ডাকাডাকি করে।
ইউপি চেয়ারম্যান আরো জানান, বিকেলে স্থানীয় লোকজন ঘরে দুটি লাশ ঝুলতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ সেখানে গিয়ে ঘরের দরজা খুলে অপুর স্ত্রী ও তাঁর ছেলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। এ সময় গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় এক মাসের শিশু ছেলে অর্ণবকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল জানান, বিকেলে অপু কর্মকারের দোতলা ঘর থেকে তাঁর স্ত্রী ও ছেলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি আরো জানান, অপু সকালে ব্যবসায়িক কাজে খুলনায় যান। এই সুযোগে তাঁর স্ত্রী এক ছেলেকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করেন। পরে শম্পা নিজেই আত্মহত্যা করেছেন। এ সময়ে অপুর ছোট ছেলের গলায় ফাঁস লাগানো থাকলেও সে অলৌকিকভাবে বেঁচে যায়।
ওসি জানান, পারিবারিক কলহের কারণে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। ওই বাড়িতে অপু ও তাঁর স্ত্রী দুই সন্তান নিয়ে থাকতেন। অপুর মা-বাবা ও ভাইয়েরা অন্য বাড়িতে থাকতেন।