বান্দরবানে এবারও পর্যটন ব্যবসায় ধস
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/09/04/photo-1504541453.jpg)
বান্দরবানে এবারের ঈদেও আশানুরূপ পর্যটক আসেনি। এতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন পর্যটনশিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা।
লোকসানের মুখে পড়েছে আবাসিক হোটেল-মোটেল, রেস্টুরেন্ট, পরিবহন, হস্তশিল্প, তাতঁশিল্পসহ এ অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরাও। কারণ পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছেন পাহাড়িরাও। আশানুরূপ পর্যটকের সাড়া না মেলায় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের শঙ্কা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
হোটেল ফোর স্টারের পরিচালক রিপন চৌধুরী বলেন, পর্যটকের জন্য হাহাকার তৈরি হয়েছে আবাসিক হোটেল-মোটেল, রেস্টুরেন্ট এবং পরিবহনগুলোতে। রমজানের ঈদের পর কোরবানির ঈদে আশানুরূপ পর্যটকের আগমন ঘটবে বলে আশায় বুক বেঁধেছিলেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু তেমনটি ঘটেনি। আবাসিক হোটেলগুলোর প্রায় সব রুম ফাঁকা। এ ক্ষতি কোনোভাবেই পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।
আবাসিক হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঈদের ছুটিতেও পর্যটক নেই বান্দরবানে। এমন দৃশ্য আগে কখনো দেখিনি। পর্যটনশিল্পে এটি একটি বিপর্যয়। পর্যটনশিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতির মুখোমুখি পড়েছে। পাহাড়ে অর্থনৈতিকভাবেও এর প্রভাব পড়ছে। লোকসান কমাতে অনেকে হোটেলের কর্মচারী ছাঁটাইয়ের চিন্তাভাবনা করছে। এ বছর পর্যটনশিল্পে যে ধস নেমেছে, সেটি আগামী বছরও পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না।
পালকি গেস্টহাউসের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহীন বলেন, দুটি ঈদের ছুটিতেও পর্যটকের আশানুরূপ আগমন ঘটেনি। এপ্রিল মাস থেকে এ পর্যন্ত লোকসান গুনছেন তাঁরা। সব রুম ফাঁকা ঈদের ছুটিতেও। চার মাস ধরে বেতন পান না।
ট্যুরিস্ট পরিবহন শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কামাল বলেন, প্রায় চার মাস ধরে বান্দরবানে পর্যটক কম। ট্যুরিস্ট গাড়ির মালিক-শ্রমিকরা অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। প্রতিবছর ঈদের পরের দুদিনের জন্য আগেই অধিকাংশ গাড়ি বুকিং হয়ে যেত, কিন্তু এ বছর দুটি ঈদেই তেমনটি ঘটেনি। আশানুরূপ পর্যটক না আসায় অনেক শ্রমিকের ঈদ কেটেছে অর্থকষ্টে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক বলেন, উৎসব মানেই বান্দরবানে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়। কিন্তু এ বছর তেমনটি ঘটেনি। পর্যটকদের বরণে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার পরও আশানুরূপ পর্যটকের আগমন ঘটেনি।