‘গলায় ব্যথা’ নিয়ে শিশু হাসপাতালে, পরে মৃত্যু

বাগেরহাটের মোংলায় খাবারের বিষক্রিয়ায় চার বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই শিশুর মৃত্যু হয়।
নিহত শিশুর নাম সোনিয়া। সে মোংলার শহরতলী সিগনাল টাওয়ার এলাকার ভাঙারি ব্যবসায়ী ইসলাম সরদারের মেয়ে।
সোনিয়া মা-বাবার দাবি, সোনিয়ার সৎমা ট্যাং জাতীয় শরবতের সঙ্গে বিষ খাইয়ে তাকে মেরে ফেলেছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক সপ্তাহ আগে মোংলার শহরতলীর সিগনাল টাওয়ার এলাকায় ভাড়া বাড়িতে ওঠেন ইসলাম সরদার। সেখানে তাঁর সঙ্গে প্রথম স্ত্রী আলসুম বেগম ও তাঁর মেয়ে সোনিয়া এবং ছোট দ্বিতীয় শাহানাজ আক্তারও থাকতেন।
নিহত সোনিয়ার মা আলসুম বেগমের ভাষ্য, গত বুধবার রাতে ইসলাম সরদারের সঙ্গে শাহানাজের ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়ার জেরে বৃহস্পতিবার দুপুরে সোনিয়াকে খাবার খাওয়ানোর পর ট্যাংয়ের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাওয়ান শাহানাজ। বিষ খাওয়ানোর সময় বাড়িতে শাহানাজ আর সোনিয়া ছাড়া কেউ ছিল না। বিষ খাওয়ানোর পর মেয়েটি গলায় ব্যথা বলে কান্নাকাটি শুরু করে। পরে বিকেল ৩টার দিকে আশপাশের লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এরপর খবর পেয়ে তিনি ও তাঁর স্বামী হাসপাতালে যান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ৮টার দিকে সোনিয়া মারা যায়।
আলসুম বেগম জানান, তিনি রাজমিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ করেন এবং ইসলাম সরদার ভাঙারির ব্যবসা করেন। তাঁদের মেয়ে বাড়িতে একা থাকত। তাই তাঁর সতীন শাহানাজকে বাড়িতে নিয়ে আসেন মেয়েকে দেখাশোনার জন্য। এখানে আসার পর শাহানাজ বিভিন্ন সময়ে সামান্য বিষয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করতেন।
মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. সুদীপ বালা জানান, খাবারে বিষক্রিয়ার ফলে শিশু সোনিয়া মারা গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। হাসপাতালে আসার পর মেয়েটি গলায় হাত দিয়ে জোরে জোরে কান্নাকাটি করছিল। মুখ থেকে ফেনা বের হচ্ছিল।
এ বিষয়ে মোংলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সনজিৎ বলেন, শিশুটি গলায় ব্যথা বলে কান্নাকাটি শুরু করলে তার নানি হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে হাসপাতালে সে মারা যায়। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া কিছু বলা যাচ্ছে না।