অনুমতি ছাড়া বিদেশ থেকে জাহাজ আনলে কারাদণ্ড

অনুমতি ছাড়া ভাঙা ও প্রক্রিয়াজাতকরণের উদ্দেশ্যে বিদেশ থেকে জাহাজ আমদানি করলে জেল-জরিমানার বিধান রেখে একটি নতুন আইন করা হয়েছে। ‘বাংলাদেশ জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ আইন-২০১৫’-এর খসড়াটি আজ মন্ত্রিসভা নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।
এই আইনের আওতায় একটি পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল তৈরি করা হবে। এর ভেতরেই বোর্ডের অনুমতি নিয়ে যে কেউ শিপইয়ার্ড তৈরি করতে পারবেন। এ অঞ্চলের বাইরে অন্য কোথাও জাহাজ ভাঙা বা পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ করা যাবে না।
আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপস্থাপিত এই আইনের খসড়াটির বিভিন্ন দিক উপস্থাপন করে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।
সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের জাহাজ ভাঙা এবং পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণের এই শিল্পটি একটি ক্রম বিকাশমান শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। ২০১১ সালের মার্চ মাসে সরকার এটিকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করে একটি নীতিমালা করেছিল। সময়ের প্রয়োজনে এটিকে এখন আইন করা হচ্ছে। এই শিল্পটিকে আগে খণ্ড খণ্ডভাবে নৌপরিবহন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় দেখাশোনা করত। এখন সমন্বিতভাবে শিল্প মন্ত্রণালয় এর তদরকি করবে।’
শ্রমিক-কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য রক্ষা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও উপকূলীয় এলাকার পরিবেশ রক্ষা করাই এই আইনের মূল উদ্দেশ্য বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, ‘এই আইনের আওতায় একটি বোর্ড থাকবে। একজন মহাপরিচালক থাকবেন এই বোর্ডের প্রধান। বোর্ডের অনুমতি ছাড়া জাহাজ আমদানি, ভাঙা ও প্রক্রিয়াজাতকরণ করা যাবে না। যদি কেউ এই আইনের কোনো বিধান ভাঙলে ১০ থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা, সর্বোচ্চ এক বছর কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে।’
আইনটির মোট ২৯টি ধারার সাতটি অধ্যায় রয়েছে।
এ ছাড়া আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে পেট্রোলিয়াম আইন ২০১৫-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের উপস্থাপিত এই আইনের খসড়াটিতে পেট্রোলিয়াম-জাতীয় দ্রব্য আমদানি, পরিবহন ও মজুদের বিধান রয়েছে। কেউ যদি এই আইনের কোনো বিধান ভঙ্গ করে তাহলে তার তিন থেকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ড দেওয়া হবে।