মায়ার পদ চ্যালেঞ্জ করে রিটের শুনানি মঙ্গলবার
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/07/27/photo-1438007578.jpg)
ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার মন্ত্রিত্ব ও সংসদ সদস্য পদ চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের শুনানির জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন।
এ বিষয়ে রিটকারী ড. ইউনূস আলী আকন্দ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘মায়া কোন কর্তৃত্ব বলে এখনো মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য পদে বহাল রয়েছেন, তা জানতে চেয়ে রুলের গত ৭ জুলাই রিট আবেদন করেছি। এ আবেদন আজ কার্য তালিকায় এসেছে। আদালত শুনানির জন্য আগামীকাল দিন ধার্য করেছেন।’
রিট আবেদনে বলা হয়, মায়ার সাজা বাতিল হওয়ার বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ বাতিল করে আবেদন নতুন করে শুনানির জন্য পাঠানো হয়। এতে নিম্ন আদালতে তাঁকে যে সাজা দেওয়া হয় তা বহাল থাকল। কিন্তু সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পরও কোন ক্ষমতা বলে মায়া এখনো মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য পদে বহাল রয়েছেন তা রিটে জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মায়ার সংসদ সদস্য পদে কার্যক্রমের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাতীয় সংসদের স্পিকার ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বিবাদী করা হয়েছে।
এর আগে গত ৩০ জুন মায়াকে নোটিশ পাঠান ড. ইউনূস আলী আকন্দ। নোটিশে উল্লেখ করা হয়, দুর্নীতির মামলা থেকে খালাসের রায় সর্বোচ্চ আদালতে বাতিল হওয়ার পর কোন ক্ষমতা বলে মায়া এখনো মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য পদে রয়েছেন তা জানতে চাওয়া হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৩ জুন সূত্রাপুর থানায় মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিভিন্ন সময়ে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ২৯ লাখ টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করেছেন। ২০০৮ সালে ঢাকার একটি বিশেষ আদালত মায়াকে ১৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ ও পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা করেন। পরে মায়া ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ২৫ মে হাইকোর্টে আপিল করেন। আপিলের শুনানি শেষে ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর হাইকোর্ট মায়ার আপিল মঞ্জুর করে তাঁর সাজা বাতিল করে খালাস দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে গেলে ১৪ জুন পুনরায় শুনানির আদেশ দেওয়া হয়।