মসজিদ থেকে জামায়াতের ১১ নেতা-কর্মী আটক

জামায়াতে ইসলামীর যশোর সদর উপজেলা শাখার আমিরসহ ১১ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর পোস্ট অফিসপাড়া জামে মসজিদ থেকে তাঁদের আটক করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
আটক নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে ছয়টি বোমা ও কিছু ‘জিহাদি বই’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। তবে জামায়াত বলছে, প্রবীণ এসব নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে বোমা উদ্ধারের দাবি শুধু হাস্যকরই নয়, পুরো অগ্রহণযোগ্য। আর জব্দ করা বইগুলো দলের প্রচারণাধর্মী পুস্তক।
আটক নেতা-কর্মীরা হলেন সদর উপজেলা জামায়াতের আমির আবদুল মালেক খান, তরিকুল ইসলাম, নরেন্দ্রপুর গ্রামের সাইদুর রহমান, শাখারিগাতি গ্রামের শফিউল্লাহ খান, একই গ্রামের রইচ উদ্দিন, মোস্তফা কামাল, গোপালপুর গ্রামের আনিসুর রহমান, রূপদিয়ার খানপাড়ার খবির উদ্দিন, নরেন্দ্রপুর গ্রামের মোস্তফা কামাল, একই গ্রামের জাকির হোসেন ও আলতাফ হোসেন।
নরেন্দ্রপুর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নাজমুল জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে নরেন্দ্রপুর পোস্ট অফিসপাড়া জামে মসজিদে অভিযান চালানো হয়। সেখানে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা নাশকতাসহ রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করছিলেন। এ সময় সেখান থেকে তাঁদের আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে কিছু জিহাদি বই জব্দ করা হয়েছে।
পরে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার আককাছ আলী দাবি করেন, অভিযানকালে জামায়াত নেতা-কর্মীদের হেফাজত থেকে ছয়টি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন বলেন, পুলিশের দাবি হাস্যকর ও অগ্রহণযোগ্য। আটক নেতা-কর্মীদের সবাই বয়সে প্রবীণ। তাঁরা নাশকতার উদ্দেশ্যে বোমা মজুদ করবেন এ কথা কেউ বিশ্বাস করবে না।
মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন বলেন, উদ্ধার দেখানো বইগুলো জামায়াতে ইসলামীর প্রচারধর্মী পুস্তক। জামায়াতের সব নেতা-কর্মীর কাছেই এগুলো থাকে।