নোয়াখালীতে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত গ্রামের পর গ্রাম

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় বেড়িবাঁধের পাঁচ কিলোমিটার অংশ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে সাত ইউনিয়নের গ্রামের পর গ্রাম। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে গ্রামগুলোর লক্ষাধিক মানুষ।
গতকাল শনিবার রাতে সমুদ্রে অস্বাভাবিক জোয়ারের চাপে বেড়িবাঁধের ওই অংশ ভেঙে যায়। প্লাবিত সাতটি ইউনিয়ন হলো—চরঈশ্বর, নলচিরা, সুখচর, তমরুদ্দি, সোনাদিয়া, জাহাজমারা ও নিঝুমদ্বীপ।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, বাঁধ ভেঙে গ্রামগুলোতে সমুদ্রের লোনাপানি প্রবেশ করায় ও কয়েক দিনের অতিবৃষ্টিতে উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সমুদ্রে সংকেত বজায় থাকায় হাতিয়ার সঙ্গে ঢাকা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও সন্দ্বীপের সব ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খন্দকার মো. রেজাউল করিম জানান, কয়েক দিন ধরে প্রবল বৃষ্টি ও সমুদ্রের জোয়ারের চাপে হাতিয়ার বেড়িবাঁধের দক্ষিণাংশে বাঁধে ফাটল ধরে। শনিবার রাতে বাঁধের কমপক্ষে পাঁচ কিলোমিটার অংশ ভেঙে যায়।
রেজাউল করিম আরো জানান, পানিতে সাত ইউনিয়নের অধিকাংশই ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। তীব্র সংকটে রয়েছে এ অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ। জরুরি ভিত্তিতে বেড়িবাঁধ নির্মাণ না করলে বাঁধের আরো অংশ ভেঙে পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে, বাঁধ ভেঙে গাছচাপা পড়ে আহত হয়েছেন চরঈশ্বরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের হেলাল উদ্দিন ও জামাল উদ্দিন নামের দুই ব্যক্তি। তাঁদের হাতিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।