১৭ লাখ টাকাসহ আটক ৭ ডিবি পুলিশ কারাগারে

কক্সবাজারের টেকনাফে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর মুক্তিপণের ১৭ লাখ টাকাসহ সেনাবাহিনীর হাতে আটক জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাত সদস্যকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ বেলা ১১টার দিকে এই সাত সদস্যকে কক্সবাজারের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মোশারফ হোসেনের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে মামলাটি আমলে নিয়ে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে এই সাত সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করে জেলা পুলিশ। এ ছাড়া ঘটনা তদন্তে গঠন করা হয়েছে একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি।
অভিযুক্ত ডিবি পুলিশের সদস্যরা হলেন উপপরিদর্শক মনিরুজ্জামান, আবুল কালাম আজাদ, সহকারী উপপরিদর্শক ফিরোজ, মোস্তফা ও আলাউদ্দিন এবং কনস্টেবল আলামিন ও মোস্তফা আজম।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইন উদ্দিন জানান, টেকনাফের ব্যবসায়ী আবদুল গফুর বাদী হয়ে অভিযুক্ত ডিবি পুলিশের সাত সদস্যকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি থানায় রুজু করে আজ সকালে কক্সবাজার আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে আবদুল গফুরের ভাই টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ডিবি পুলিশের অত্যাচারে উখিয়া-টেকনাফের সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। আজ আমার ভাইকে অপহরণ করে মুক্তিপণ নিয়েছে, কাল অন্যজনের কাজ থেকে মুক্তিপণ নেবে। এ জন্য কাউকে না কাউকে এগিয়ে আসতে হবে। এ কারণে মামলাটি করা হয়েছে।’
কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, বিচারক সাত ডিবি সদস্যের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়ায় তাঁরা এখন কক্সবাজার জেলা কারাগারে রয়েছেন।
এর আগে গতকাল বুধবার ভোররাতে টেকনাফে ব্যবসায়ী আবদুল গফুরকে জিম্মি করে ১৭ লাখ টাকা আদায় করার পর একটি মাইক্রোবাসে কক্সবাজারে যাওয়ার পথে সেনাবাহিনীর চেকপোস্টে তল্লাশির সময় টাকাসহ সাত পুলিশকে আটক করেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এ সময় ডিবি পুলিশের এক উপপরিদর্শক পালিয়ে যান।
পরে উদ্ধার করা টাকা ওই ব্যবসায়ীকে ফেরত দেওয়া হয়।