হবিগঞ্জে সংরক্ষিত নারী আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্য কেয়া চৌধুরীর ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর কদমতলী এলাকার একটি বাসা থেকে এই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সদস্যরা।

গ্রেপ্তার হওয়া দুজন হলেন বাহুবল উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান তারা মিয়া ও জেলা পরিষদের সদস্য আলাউর রহমান শাহেদ। এদের মধ্যে তারা মিয়া যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে এবং আলাউর রহমান শাহেদ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

আজ বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করে এই গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করে ডিবি পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম, পরিদর্শক আহসান হাবীব ও উপপরিদর্শক ইকবাল বাহারের নেতৃত্বে একটি দল তিনদিন আগে ঢাকায় অবস্থায় নেয়। এরপর এই দলটি ঢাকার বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালায়। গতকাল সন্ধ্যায় তাঁরা নিশ্চিত হন যে তারা মিয়া ও আলাউর রহমান শাহেদ কদমতলী এলাকার একটি বাসায় অবস্থান করছেন। এই তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পর ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এ বিষয়ে সংসদ সদস্য কেয়া চৌধুরী জানান, হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেওয়ার জন্য তারা মিয়া ও আলাউর রহমান শাহেদ ঢাকা গিয়েছিলেন। কিন্তু হাইকোর্টে তিন দফা জামিন আবেদন করলেও তিনবারই তা নামঞ্জুর হয়। সবশেষ গতকাল বিকেলে তারা মিয়া ও শাহেদের পক্ষে হাইকোর্টের ১৫নং কোর্টে জামিন আবেদন করেন সিনিয়র তিন আইনজীবী। সরকারপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।

শুনানি শেষে বিচারপতি আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিল দুই আসামির জামিন নামঞ্জুর করেন। সেখান থেকে তারা মিয়া ও সাহেদ কদমতলীর ওই বাসায় ফেরেন।

গ্রেপ্তারের পর গত রাতেই দুই আসামিকে নিয়ে হবিগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেয় ডিবি পুলিশ। রাত ২টার দিকে তারা হবিগঞ্জ ডিবি অফিসে এসে পৌঁছায়।

গত ১০ নভেম্বর বাহুবল উপজেলার মিরপুর বাজারের অদূরে বেদেপল্লীতে সরকারি সহায়তার চেক বিতরণ করার সময় কেয়া চৌধুরীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় কেয়া চৌধুরীসহ নারী ইউপি সদস্য পারভীন আক্তার, সাবেক নারী ইউপি সদস্য রাহিলা আক্তারসহ কয়েকজন আহত হন।