‘ভুয়া এসএমএসে টাকা হাতানো’য় যুবককে ধরলেন বিকাশ এজেন্টরা

বাগেরহাটের মোংলায় মোবাইল ফোনে ভুয়া এসএমএস পাঠিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ীরা।
আজ মঙ্গলবার রাতে দিগরাজ বাজার থেকে এই হ্যাকারকে আটক করা হয়। তাঁর নাম রবিউল ইসলাম (৩১)। পরে ভুক্তভোগী লোকজন তাঁকে দেখার জন্য এবং তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নিতে পুলিশের কাছে জোর দাবি জানায়। কিন্তু এ ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, ‘আমি থানার বাইরে আছি। শুনেছি লোকজন ধরে একজনকে পুলিশে দিয়েছে। তার বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে পরবর্তীতে জানাতে পারব।’
স্থানীয় বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ীরা জানান, মোংলার দিগরাজ বাজারের মিলি টেলিকমসহ আশপাশের দোকানগুলোতে গত ২০-২২ দিন ধরে রবিউল সন্দেহজনকভাবে চলাফেরা করছিলেন এবং দোকানে দোকানে ঢুকে কৌশলে বিকাশ নম্বরের খাতা দেখে মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে আসছিলেন। এরপর ওই সব দোকান থেকে নেওয়া নম্বরগুলোতে বিকাশ এজেন্ট পরিচয় দিয়ে ফোন করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন। এ নিয়ে দিগরাজ বাজারের বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ীদের কাছে গ্রাহকরা একের পর এক অভিযোগ জানায়। এরই একপর্যায়ে রাতে মিলি টেলিকম থেকে কয়েকটি নম্বর সংগ্রহ করে সেই সকল নম্বরে ফোনে যোগাযোগ করার সময় হাতেনাতে হ্যাকার রবিউলকে দোকানি আবদুর রাজ্জাকসহ আশপাশের দোকানি আটক করে পুলিশে দেয়।
স্থানীয় লোকজন জানায়, রবিউল খুলনার ছোট বয়রা এলাকায় বসবাস করেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি নড়াইলের চাপুলিয়া গ্রামে। তিনি ২০১৫ সালে বিএল কলেজ থেকে ডিগ্রি পাস করার পর এ চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। পুলিশ রবিউলের কাছ থেকে হ্যাকিংয়ের কাজে ব্যবহৃত চারটি মোবাইল ফোন ও বিভিন্ন কোম্পানির বেশ কয়েকটি সিমও জব্দ করেছে।