ঝিনাইদহের এক ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত

মাদক ব্যবসা, অস্ত্র চোরাচালানসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ঝিনাইদহের এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বরখাস্ত হওয়া ইউপি চেয়ারম্যানের নাম আবুল কালাম আজাদ। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের ভাগ্নে এবং বারোবাজার ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) উত্তম কুমার জানান গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার বিভাগের চিঠি পেয়েছেন তিনি।
ইউএনও উত্তম কুমার জানান, আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে র্যাব বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইন এবং মাদক দ্রব্য আইনে দায়ের করার এ মামলা তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে । আদালত ২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। বিষয়টি জানিয়ে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক আবুল কালাম আজাদকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠান।
ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদসহ চারজনকে ২০১৬ সালে চেয়ারম্যানের কার্যালয় থেকে বোমা, ইয়াবা ও ফেনসিডিলসহ আটক করে র্যাব। মাঝে সবুজ গেঞ্জি পরা ব্যক্তিটিই চেয়ারম্যান আজাদ। ছবি : এনটিভি
ইউএনও উত্তম কুমার আরো জানান, সেই মোতাবেক মন্ত্রনালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে ওই বরখাস্তের কথা জানানো হয়। গত ১০ জানুয়ারি আদেশটি জারি করা হয়। তবে আজই ওই চিঠি পেয়েছেন বলে জানান ইউএনও।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান খান জানান, ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজারে নিজস্ব মাছের আড়ত সংলগ্ন অফিস থেকে দুইটি তাজা বোমা, ১২০ বোতল ফেনসিডিল ও ২৫০টি বড়ি ইয়াবা উদ্ধার করে র্যাব। ওই সময় হাতেনাতে আটক হন চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ও তাঁর বড় ভাই আবদুস সালামসহ আরও চারজন। ঘটনার পরদিন ঝিনাইদহ র্যাব-৬ এর কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম বাদি হয়ে চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদকে প্রধান আসামি করে মাদক ও বিস্ফোরক আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
একই বছরের ২ নভেম্বর চেয়ারম্যানের বাড়ি কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজারে আবারও অভিযান চালায় র্যাব। ওই সময় একটি রিভলবার, চারটি শাটার গান, তিন হাজার বোতল ফেনসিডিল ও পাঁচশোটি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। ওই অভিযানে চেয়ারম্যানের ভাই সোহেলসহ তিনজনকে আটক করা হয়।
সাময়িক বরখাস্তের ব্যাপারে আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ ধরনের কোনো চিঠি এখনও তিনি পাননি।