অবশেষে মায়ের কোলে শিশু সুরাইয়া

গর্ভে গুলিবিদ্ধ শিশু সুরাইয়াকে তুলে দেওয়া হলো মায়ের কোলে। আজ রোববার দুপুর ১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে ৪৮ নম্বর কেবিনে মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয় শিশু সুরাইয়াকে।
urgentPhoto
এ সময় ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমান, অধ্যাপক ডা. আবদুল হানিফ, সহযোগী অধ্যাপক ডা. কানিজ হাসিনা শিউলিসহ আরো বেশ কয়েকজন চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক আবদুল হানিফ বলেন, ‘আমরা আজকে বাবুকে মায়ের কাছে দিয়েছি। আগে মা দিনে কয়েকবার এসে আউসিইউতে বাবুকে বুকের দুধ খাইয়ে যেতেন। কিন্তু রাতে আসতে পারতেন না। তাঁরও একটি সার্জারি হয়েছে। বাবুর অবস্থা এখন মোটামুটি ভালো, এ কারণে আমরা তাকে মায়ের কাছে কেবিনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ ছাড়া বাবুর ওজনও এখন বাড়তে শুরু করেছে। তার ওজন এখন দুই কেজির কাছাকাছি, আগে যেখানে ওজন ছিল ১৮০০ গ্রাম।’
শিশু আশঙ্কামুক্ত কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক আবদুল হানিফ বলেন, ‘আসলে শিশুটি প্রিম্যাচিউর হওয়ায় একটা ইনফেকশনের ভয় থেকে যায়। সে ক্ষেত্রে আমরা কেবিনে তিনজন নার্সের ব্যবস্থা করেছি, তারা শিফটিংয়ে ডিউটিতে থাকবেন। এ ছাড়া বাইরে সিকিউরিটি রাখা হয়েছে যাতে ভেতরে কেউ প্রবেশ করতে না পারে। নইলে ইনফেকশনের ঝুঁকি থেকে যাবে।’
শিশুটির চোখের বিষয়ে এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, ‘শিশুটি যে চোখে আঘাত পেয়েছে তা চক্ষু বিশেষজ্ঞরা ভালো বলতে পারবেন। সে চোখে দেখতে পাবে কি না সে বিষয়ে এখনো তারা আমাদের কিছু জানাননি। আগামী বুধবার তারা আবার শিশুটির চোখ পরীক্ষা করবেন।’
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ২৩ জুলাই বিকেলে মাগুরা শহরের দোয়ারপাড়ে যুবলীগকর্মী কামরুল ভূঁইয়ার সঙ্গে যুবলীগকর্মী মোহাম্মদ আলী ও আজিবরের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় কামরুলের বড় ভাই বাচ্চু ভূঁইয়ার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী নাজমা বেগম (৩০) ও চাচা মোমিন ভূঁইয়া গুলিবিদ্ধ হন।
ওই রাতেই মাগুরায় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নাজমার গুলিবিদ্ধ শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়। পরদিন রাতে মাগুরা সদর হাসপাতালে মোমিন ভূঁইয়া মারা যান। দুদিন পর গুলিবিদ্ধ শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে নাজমাকেও ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।