বিমান বিধ্বস্ত : আলিফের খোঁজ পাচ্ছে না স্বজনরা

নেপালের কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটিতে খুলনার আলিফুজ্জামান আলিফ (৩২) নামে এক যুবক রয়েছেন বলে জানা গেছে। ঘটনার পর থেকে তাঁর সঙ্গে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তার কী অবস্থা তা কেউ বলতে পারছেন না কেউ।
আলিফুজ্জামান আলিফ খুলনার রূপসা উপজেলার আইচগাতি বারোপোল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি খুলনার এমএম সিটি কলেজ থেকে এবার মাস্টার্স পরীক্ষা দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি খুলনা জেলা প্রজন্ম লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ছিল বলে জানা গেছে।
আলিফের স্বজন মো. সাব্বির খান দ্বীপ আজ সোমবার রাতে জানান, আলিফ নেপাল ভ্রমণের জন্য সকালে বাড়ি থেকে বের হন আলিফ। তিনি যশোর থেকে প্রথম ফ্লাইটে বেসরকারি এয়ারওয়েজ নভো ইয়ারে ঢাকায় যান। দুপুর পৌনে ১টার দিকে ইউএস-বাংলার (ফ্লাইট বিএস ২১১) ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হন নেপালের উদ্দেশ্যে। তিনি বিমানের সর্বশেষ আসনে ছিলেন। নেপালে বিমানবন্দরে কাঠমাণ্ডুতে নামার সময় পাইলট নিয়ন্ত্রণ হারালে বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়।
দ্বীপ জানান, ঘটনার পর থেকে আলিফের সঙ্গে তারা কোন যোগাযোগ করতে পারেননি। দুর্ঘটনায় তার ভাগ্যে ঠিক কি ঘটেছে- সেটিও তার পরিবারের সদস্যরা ধারণা করতে পারছেন না।
এদিকে, ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে আলিফদের আইচগাতির বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশিসহ উৎসুক জনতার ভিড় জমে গেছে। তার বাড়িতে এসে আলিফের খবর জানার চেষ্টা করছেন। তবে, পরিবারের সদস্যরা অনেকটাই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ও শোকাহত হয়ে পড়েছেন।
আলিফের বড় ভাই আশিকুজ্জামান হামিম ও ছোট ভাই ইয়াসিন আরাফাত বলেন, তারা তাদের ভাইয়ের সঠিক কোনো তথ্যই এখনও পাননি। যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। এর বেশি কিছু বলতে পারেননি তারা।
আলিফের অপর আত্মীয় স্থানীয় আইচগাতি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী খান জুলু বলেন, তিনি খবর পেয়ে আলিফদের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে শোক বিরাজ করছে। পরিবারের সদস্যদের শান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন তারা।